Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়রায় পাউবো’র ৫ টি স্থানের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ

| প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/১ পোল্ডারের কপোতাক্ষ নদের হরিণখোলা, গোবরা ও কাশিরহাটখোলা এবং ১৩-১৪/২ পোল্ডারের শাকবাড়িয়া নদীর গাতীরঘেরী, পবনা এলাকা ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।
গত দুই দিন আগে এ সকল মুল বাধের অর্ধেক অংশ ধ্বসে গিয়ে সিংহভাগ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এত কিছুর পরেও পাউবো কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার এলাকাবাসী জানালেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিতে না পারায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে ঐ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। গত এক সপ্তাহে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়লে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এ সকল এলাকার মানুষ। জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য জোর দাবী জানিয়েছে আতংকিত এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২/৩ দিন আগে নদীতে প্রবল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের বেগ বেশী হওয়ায় কপোতাক্ষ নদের হরিণখোলা বেড়িবাঁধের একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক কয়রা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় বাঁধটি আপাতত রক্ষা করা সম্ভব হয়। তারপরেও ঐ এলাকার বাঁধ নিয়ে এলাকাবাসী আতংকিত রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, জরুরী ভিত্তিতে হরিণখোলা ও গোবরা বেড়িবাঁধে কাজ করা না হলে চলতি গোনে ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হরিণখোলা গ্রামের আত্তাব আলী বলেন, হরিণখোলা ও গোবরা এলাকা ভেঙ্গে গেলে কয়রা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম লবণ পানিতে তলিয়ে যাবে এবং উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়বে।
এছাড়া উত্তর বেদকাশিই উনিয়নের, গাজীপাড়া, কাটকাটা, কাঠমারচর, গাতিরঘেরী, গাববুনিয়া, হাজতখালী, কাশিরহা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের, তেতুলতলারচর, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের জোড়শিং, আংটিহারা, চোরামুখা, মেদেরচর, কয়রা ইউনিয়নের ৪নং কয়রা, ৬নং কয়রা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, মহারাজপুর ইউনিয়নের লোকা,পবনা, দশহালিয়া এলাকার ভেড়িবাঁধ ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ সকল বাঁধ যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নিলিমা চক্রবর্তী বলেন, গাতির ঘেরী বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে গত কয়েক দিনে আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে জন্য বেড়িবাঁধ চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গনরোধে বেড়িবাঁধ মেরামত করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে চিংড়ি ঘের সহ মানুষের বসতভিটা লোনা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল আলম বলেন,ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, নদী ভাঙ্গনে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার জন্য উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা তহবিল থেকে ৫ টি ইউনিয়নে ৫০ হাজার করে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখম তমিজ উদ্দিন বলেন, কয়রার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নদী ভাঙ্গন তাই সেই দিকটা বিবেচনা করে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে জরুরী ভিত্তিতে পরিকল্পনা মাফিক বেড়িবাঁধ মেরামত করা প্রয়োজন। তিনি পাউবো’র ঊর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছে বলে জানিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কয়রা

৬ অক্টোবর, ২০১৬
৩০ জুলাই, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ