২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ভাইরাস দিয়ে যদি পাকস্থলি এবং অন্ত্রে প্রদাহ হয় তাকে বলে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টেরাইটিস। সারা বিশ্বেই রোগটি দেখা যায়। এটিকে ‘স্টমাক ফ্লু’ ও বলা হয়। আমাদের দেশে এ রোগ অনেক দেখতে পাওয়া যায়। দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টেরাইটিস ছড়ায়।
বিভিন্ন ভাইরাস দিয়ে অসুখটি হতে পারে। সচরাচর যেসব ভাইরাস রোগটির জন্য দায়ী তার মধ্যে রয়েছে-
১। রোটাভাইরাস ২। এডেনোভাইরাস ৩। ইকোভাইরাস
৪। নরওয়াক ভাইরাস।
এছাড়া অন্যান্য ভাইরাসেও রোগটি হতে পারে।
ভাইরাস শরীরে ঢোকার ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে রোগটি শুরু হয়। বিভিন্ন উপসর্গ থাকে এ অসুখে। যেমন :-
১। পাতলা পায়খানা ২। বমিভাব ৩। বমি ৪। মাথা ব্যথা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা ৬। অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ৭। জ্বর ৮। কাঁপুনি
৯। পেট ব্যথা ১০। ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।
১ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত উপসর্গগুলো থাকতে পারে।
ভাইরাল গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টেরাইটিস ডায়াগনসিস সহজ। ইতিহাস শুনেই অনেক দূর ডায়াগনসিস করা যায়। অনেক সময় একসাথে অনেকের এ রোগ হয়। তখন ডায়াগনসিস আরো সোজা হয়।
তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পায়খানা পরীক্ষা করা হয়। তখন কোন ভাইরাস দিয়ে হয়েছে তাও বোঝা যায়। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া বা প্রোটোজোয়া দিয়ে রোগটি হয়েছে কিনা তাও বোঝা যায়।
ভাইরাল গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টেরাইটিস সাধারণত ২-৩ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাস মারতে পারে না। খাবার স্যালাইন দেয়া হয়। বমি হলে বা অত্যধিক পানি-লবণ শূন্যতা হলে শিরায় স্যালাইন দেয়া হয়।
ভাইরাল গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টেরাইটিস রুগী প্রচুর পাওয়া যায়। তাই সচেতনতা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানলে রোগটি বহুলাংশে প্রতিরোধ করা যায়।
ডা. ফজলুল কবির পাভেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।