Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এসআই মিজানুল ধর্ষণ করায় গায়ে আগুন দিয়ে মারা যায় কনস্টেবল হালিমা

সংবাদ সম্মেলনে চিরকুট প্রকাশ

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : ময়মনসিংহে নারী কনস্টেবল হালিমা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় তার রেখে যাওয়া নানা তথ্য প্রকাশ করে অভিযুক্ত গৌরীপুর থানার এসআই মোহাম্মদ মিজানুল ইসলামের বিচার দাবি করেছেন বাবা হেলাল উদ্দিন আকন্দ।
সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যুর আগে হালিমার লেখা চিরকুট ও ওসির কাছে করা ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ করেন হেলাল উদ্দিন আকন্দ । ওই চিরকুটে লেখা আছে ‘আমার মরে যাওয়ার একমাত্র কারন এসআই মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম গৌরীপুর থানা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ১৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে রাত ২টার সময়। আমার অভিযোগ অফিসার ইনচার্জ গ্রহণ করে না।’   
হেলাল উদ্দিন জানান, মৃত্যুর আগে গৌরীপুর থানার ওসির কাছে মিজানুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ লিখে যায় হালিমা। তাতে লেখা আছে, মিজানুল তাকে নানা সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিত। এতে হালিমা রাজি না হওয়ায় মিজানুল তার ক্ষতি করার হুমকি দেয়। ১৭ মার্চ রাত ২টার দিকে মিজানুল হত্যার হুমকি দিয়ে হালিমাকে ধর্ষণ করে। ওই অভিযোগ ওসি গ্রহণ করেননি বলে চিরকুটে লিখে যান হালিমা। ওই অভিযোগে হালিমা আরো লিখেন, মিজানুলের ধর্ষণের বিষয়টি থানার এসআই রিপন জানতেন। রিপন হালিমাকে ওসির কাছে অভিযোগ করতে না করেন।  
হালিমার বাবা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর পর গত ৬ এপ্রিল গৌরীপুর থানার ব্যারাক থেকে তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র নেয়ার পর একটি ডায়েরি পাওয়া যায়। তাতে হালিমার নিজের হাতের লেখা চিরকুট ও অভিযোগ পাওয়া যায়।  
সংবাদ সম্মেলনে হালিমার বাবা এসআই মিজানুলের বিচার দাবি করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিলে আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিত না। তিনি জানান, ধর্ষণের বিষয়টি থানার ভেতরে জানাজানি হওয়ার পর একই থানার এসআই রিপনসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা হালিমাকে বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলে।  
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল গৌরীপুর থানার ব্যারাকে নিজ কক্ষে শরীরে আগুন দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন হালিমা। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এরপর গত ৪ এপ্রিল হালিমার বাবা মিজানুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ মামলা করলে পুলিশ ওইদিনই মিজানুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে মিজানুল কারাগারে আছে।  



 

Show all comments
  • Nasir Uddin ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ২:০০ পিএম says : 0
    we want justice
    Total Reply(0) Reply
  • Md Omar ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ২:০০ পিএম says : 0
    কিছুই বলার নাই
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ৮:০৫ পিএম says : 0
    এস.আই মিজানুলতো বটেই সেই সাথে এস.আই রিপন সহ যে কয়জন এমন মারাত্মক ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছেন মিজানুলের কুকর্মের সহযোগী হিসাবে তারাও সমান অপরাধী। আর বড় কর্তা (ওসি) তো গুরু-দায়ীত্বে অবহেলা ও অপরাধীর প্রশ্রয় দাতা তথা নাটের গুরু হিসাবে আরো এক ডিগ্রী বেশীর দাবীদার বলে প্রতীয়মান হয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ