পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের পাশে একটি সেনাঘাঁটিতে বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪০ জন সেনা। আহত হয়েছেন আরো ১৬০ জন। স্থানীয় তালেবান যোদ্ধারা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সেনা ঘাঁটির মসজিদের পাশে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় সামরিক পোশাক পরিহিত ছিল ৬ হামলাকারী। তারা সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বেশুমার বোমা হামলা চালায়। আফগান সেনাদের পাশাপাশি দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি সেনারাও বিভিন্ন সময় এই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে থাকে। হামলার সময় সেখানে জার্মান সেনারাও অবস্থান করছিলেন।
তবে হামলায় অন্য দেশের কোনো সেনাসদস্য হতাহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। হামলায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয় এতে অন্তত ১৪০ জন সেনা নিহত হয়েছে এই হামলায়। অন্যদিকে, পেন্টাগন জানিয়েছে যে, ইসলামিক স্টেট গ্রুপের নেতা আবু বকর আল বাগদাদির একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাদের কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছে। আবদুল রহমান আল উজবেকি সিরিয়ায় নিহত হন, যিনি নববর্ষের রাতে ইস্তাম্বুলের একটি নৈশ ক্লাবে হামলার পরিকল্পনার সাথে জড়িত ছিলেন। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাসরাতুল্লাহ জামশিদি বলছেন, হামলায় নিহত হয়েছেন মাত্র ৮ জন সেনা। আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। পরে পাল্টা আক্রমণে ১ হামলাকারী নিহত ও অপর ৫ জন আটক হয়। তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাওলাত ওয়াজিরি জানান, হামলায় অংশগ্রহণ করেছে অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে ৭ জনকেই হত্যা করা সম্ভব হয়েছে। ২ জন আত্মহত্যা করেছেন। বাকি ১ জন আফগান বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জন থমাস এ হামলাকে আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ হামলা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, এ হামলায় অন্তত ৫০ জন সেনা হতাহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে হামলা দায় স্বীকার করেছে তালেবান যোদ্ধারা। অপর এক খবরে বলা হয়, সামরিক পোশাকে এবং দুটি সামরিক যানে করে সেনাঘাঁটির গেটে হাজির হয় ছয় হামলাকারীরা। নিরাপত্তারক্ষীকে তারা বলে ওই গাড়িতে করে আহত সেনাদের নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে ভেতরে ঢোকা প্রয়োজন। জামশিদি জানান, হামলাকারীরা ৮ সেনাকে হত্যা করে এবং ১১ জনকে আহত করে। পরে পাল্টা হামলায় এক হামলাকারী নিহত এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নাম প্রকাশ না করে অন্য এক আফগান কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিহত সেনার সংখ্যা ২০ জনেরও বেশি। সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে ঘাঁটির সামরিক চেকপয়েন্টগুলো দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে হামলাটি চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জন থমাস বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, শুক্রবারের হামলাটি একটি উল্লেখযোগ্য হামলা, এতে সম্ভবত ৫০ জনের বেশি হতাহত হয়েছে। ঘাঁটিটির একটি মসজিদ ও একটি ডাইনিং এলাকাকে কেন্দ্র করে হামলাটি পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। মাজার ই শরীফের এই ঘাঁটিটি আফগান ন্যাশনাল আর্মির ২০৯তম কর্পসের ঠিকানা। উত্তর আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চলের নিরাপত্তার বিধানের দায়িত্ব এই ঘাঁটিটির ওপর ন্যস্ত। এসব অঞ্চলের মধ্যে কুন্দুজ প্রদেশও আছে যেখানে স¤প্রতি তীব্র লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, ইয়াহু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।