পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিকের সাথে যুক্ত হয়ে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা পূরণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি নতুন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণ করবে সামিট গ্রুপ। এ লক্ষ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের এ প্রকল্পের জন্য সামিট এলএনজি টার্মিনাল নামে এরই মধ্যে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করেছে তারা। আর এ প্রকল্পের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর মধ্যে পেট্রোবাংলার সঙ্গে টার্মিনাল ব্যবহার-সংক্রান্ত এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি হবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর পেট্রোসেন্টারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমুদ্দিন চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তি দুটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফাইজুল্লাহ, সামিটের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান ও ফরিদ খান, জেনারেল ইলেকট্রিকের অবকাঠামো পরিচালক পিটার মেকেইসহ পেট্রোবাংলা ও সামিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সামিট গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রকল্পে আমদানিকৃত এলএনজি ভাসমান সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ এবং পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করে তা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) কাছে সরবরাহ করবে সামিট। চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে সামিট। নির্মাণ শেষে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। পেট্রোবাংলা সামিটের কাছ থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের বিনিময়ে দশমিক ৪৫ ডলার পরিশোধ করবে। চুক্তি অনুসারে ১৫ বছর পরে পেট্রোবাংলার কাছে টার্মিনালটি হস্তান্তর করবে সামিট।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এলএনজি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করে পেট্রোবাংলার কাছে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের জন্য দশমিক ৪৭ ডলার দর নির্ধারণ করা হয়। তবে সামিট এর চেয়ে ২ সেন্ট কম দরে তা সরবরাহ করবে। জানা গেছে, সামিটের এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০-৫০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক এবং সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এতে ইকুইটি অর্থায়ন করবে। এর মধ্যে জেনারেল ইলেকট্রিকের কাছে ২০ শতাংশ এবং সামিটের কাছে ৮০ শতাংশ মালিকানা থাকবে। এর আগে সামিটের বিভিন্ন বিদ্যুৎ্ প্রকল্পে আইএফসি, আইডিবি, দাইলিম, আসমা ক্যাপিটাল, ডিইজি, এফএমও, সিডিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য বিদেশী ঋণদাতা সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থায়ন করা হলেও এলএনজি টার্মিনালটি সামিট নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ বিষয়ে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সীমিত মুনাফা করে দেশে গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখতে চাই। যেহেতু ২০১৮ সাল থেকে দেশের বিদ্যমান গ্যাসের সরবরাহ কমতে শুরু করবে, তাই বর্ধিত জ্বালানি চাহিদা পূরণ করতে এলএনজিই সবচেয়ে সহজ, পরিবেশবান্ধব, ব্যয়সাশ্রয়ী ও প্রাথমিক জ্বালানি চাহিদা পূরণের ত্বরিত সমাধান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তিনি আরো বলেন, ভাসমান টার্মিনাল সামিটের ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বড় প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সাহায্য করবে। বর্তমানে পিডিবি সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ারের মাধ্যমে আমদানি করা জ্বালানি থেকে ১৮ টাকা ২৩ পয়সা দরে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। যদি এ প্রকল্পে এলএনজি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, তাহলে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ৮ টাকা ৮৮ পয়সায় নেমে আসবে। এর মাধ্যমে পিডিবির প্রতি বছর এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৭৪ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।