Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধাক্কা সামলাতে আরও ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে আদানি গ্রুপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৭:০০ পিএম

ভুয়া শেয়ারের দাম দেখিয়ে গত কয়েক বছরে বাজার থেকে বিপুল টাকা তুলেছে আদানি গোষ্ঠী। সেই গোলমাল ফাঁস করে দিয়েছে হিন্ডেনবার্গ গ্রুপ। তারই জেরে রাতারাতি বিপুল টাকা উবে গিয়েছে আদানির পকেট থেকে। হুহু পড়ে গিয়েছে আদানির শেয়ারের দাম। এখন ওই ঘাটতি কীভাবে পূরণ করবেন গৌতম আদানি। এই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এলআইসির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল টাকা ধার নিয়ে বসে রয়েছে আদানি গ্রুপ। এর মধ্যেই বড় খবর হল কোনও একটি সংস্থা আদানিকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চলেছে। সেই ঋণের পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলারও হতে পারে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সংবাদসংস্থার খবরে। ওই খবরের পর এনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, কোম্পানির বিপুল ধাক্কা সামাল দিতে কোম্পানিকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজী হয়েছে একটি স্বাধীন সংস্থা। বিষয়টি শেয়ার হোল্ডারদের জানানোও হয়েছে। এমনকি ওই ঋণের পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্তও হতে পারে। সেই সংস্থা কারা সেই বিষয়টি খোলসা করেনি সংস্থা। বিষয়টি শোয়ার হোল্ডারদের জানিয়েও দিয়েছে আদানি গ্রুপ। গত মঙ্গলবার আদানি গ্রুপ জানিয়েছিল মার্চের শেষপর্যন্তু তারা শেয়ার হোল্ডারদের ৭৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণ মিটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।

এলআইসির কাছে থেকে কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বসে রয়েছে আদানি গ্রুপ। এর মধ্যেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্ক অব বরোদা-র সিইও জানিয়েছেন তারা আদানিকে ঋণ দিতে প্রস্তুত। ফলে নতুন করে ওই বিপুল টাকা কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

আদানিকে এলআইসির ঋণ দেয়া নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার আদানির নতুন করে ঋণ পাওয়া নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ। এক ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, আরও ঋণ! কিসের বিনিময়ে ওই ঋণ পাচ্ছে আাদানি? গত দুদিন আদানির শেয়ারের যে অবস্থায় পৌঁছেছে তা একেবারে শোচনীয়। আশাকরি এলআইসি তাদের ঋণ কম করবে। সূত্র: জিনিউজ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ