Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দহগ্রাম সীমান্তে কিশোরীকে পাচারের ব্যর্থ চেষ্টা

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডোমার (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : রুমানা আক্তার ১৪ বছর বয়সী কিশোরী। দুই বছর পূর্বে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে আর করতে পারেনি সে। কিশোরী রুমানা সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার তিন নং দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াপাড়া গ্রামের আছদ্দর আলীর কন্যা।
অভাব আর অনটনের মধ্যে বাবা-মায়ের সংসারে বড় হতে থাকে কিশোরী কন্য রুমানা। এরই মধ্যে একই জেলার জাকিগঞ্জ উপজেলার ফরচুয়া গ্রামের সফিক উদ্দিনের পুত্র পাচারকারী দলের সদস্য লায়েক আলী (২৮)’র চোখ পড়ে এই কিশোরীর দিকে। লায়েক আলী ঘোরাফেরা করতে থাকে রুমানাদের বাড়ির আশেপাশে। এক পর্যায় সে রুমানার বাবার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিতে থাকে ঐ কিশোরীকে। মোবাইলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে কথা অল্প কিছুদিন।
এরপর কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁলিয়ে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে পাচারকারীর সদস্য লায়েক তাকে নিয়ে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় মেয়েটিকে বাড়ি থেকে গোপনে অপহরণ করে এনে লায়েক তার খালাতো ভাই সুমনকে সাথে নিয়ে পাড়ি জমায় উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের আঙ্গোরপোতা সরদারপাড়া গ্রামে। লায়েক ও সুমন দুজন মিলেই ওই কিশোরীকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাত্রী যাপন করে। কিশোরীটিকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে তাদের দু’জনের সাথেই শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিয়ে প্রায় পাঁচদিন ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে পাচারকারী দলের সদস্যরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চেষ্টা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ