Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিমিকে তিন বছর নিষিদ্ধের সুপারিশ

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আবারও বড় শাস্তির মুখে পড়ছেন জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে সমন্বয় কমিটি। শুধু তাই নয়, এই কমিটি জাতীয় দলের প্রধান কোচ জার্মানির অলিভার কার্টজকে শোকজ নোটিস দেয়া এবং ভবিষ্যতে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতা আমলে নেয়ার জন্যও সুপারিশ করেছে। গতকাল এই তিন সুপারিশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেকের কাছে জমা দেন চার সদস্যের সমন্বয় কমিটির প্রধান মাহবুব এহসান রানা। এ সময় কমিটির তিন সদস্য মামুনুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম কামাল ও আবু জাফর তপন তার সঙ্গে ছিলেন।
জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও হকি ফেডারেশনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নাকি অযাচিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। এছাড়া সেনাবাহিনীর একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছেন। যে কারণে সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ফেডারেশনে। শুধু তাই নয়, মাঠে খেলাচলাকালীনও নাকি জিমি সতীর্থদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। খেলা চলাকালে তার কথা মতো পাস না দিলে তরুণ খেলোয়াড়দের গালিগালাজও নাকি করেন এই ফরোয়ার্ড। এমন কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২ এপ্রিল জিমিকে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করে ফেডারেশন। যার জবাবে গেল ৮ এপ্রিল স্বশরীরে ফেডারেশন অফিসে এসে তাকে ক্ষমা চেয়ে আপীল করতে বলা হলেও শোকজের জবাব দিতে এসে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন জিমি। ফলে সমন্বয় কমিটির কোর্টেই যায় তার অভিযোগপত্র। দীর্ঘ দেড় সপ্তাহ দালিলিক প্রমাণাদী দেখে অবশেষে তিনটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয় এই কমিটি। যা কাল সুপারিশ আকারে জমা দেয়া হয় ফেডারেশনে।
এর আগে ২০১৪ সালে হকি ফেডারেশনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহর বিরুদ্ধে যাওয়া চার বিদ্রোহী ক্লাবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন জিমি। তখন তিনি মাঠেই ফেডারেশন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিলেন। যার শাস্তি স্বরুপ ওই সময় তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন দেশসেরা এই ফরোয়ার্ড। তবে ২০১৫ সালের মার্চে ফেডারেশনকে স্ট্যাম্প পেপারে লিখিত মুচলেকা দেয়ায় তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। তখন তিনি লিখিত দিয়েছিলেন এই বলে যে ‘ভবিষ্যতে অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকবেন’। কিন্তু না, নিজের কথা রাখতে পারলেন না জিমি। আবারো ঘটালেন একই কান্ড। ফলে সমন্বয় কমিটির সুপারিশক্রমে এবারো তিন বছরের নিষেদাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুপারিশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ