শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ঢালী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম কাউসারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার স্কুলের অভিভাবক ও শতাধিক এলাকাবাসী স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একাধিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী জানান, বিনোদপুর ঢালী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম কাউসার বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল ও আপত্তিকর আচরণ করে। ফাঁকা রুমে ও স্কুলের ছাদে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ছাত্রীদের দেখায় এবং ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলতে ভয় ভীতি দেখায়। গত রোববার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অভিভাবক হাবিবুর রহমান (হাবিবুল্লা) সরদার ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর একাধিক ছাত্রী বলেন, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। একা রুমে ডেকে নিয়ে আমাদের কুপ্রস্তাব দেয়। মোবাইল ফোনে খারাপ ছবি দেখায়। এগুলো কারো কাছে বলতে নিষেধ করে। বললে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে অবরোধ করে রাখে এবং তার একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক এসএম কাউসারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। এ ব্যাপারে একাডেমীক ব্যবস্থা নেয়া না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।