২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বাংলা নাম আনারস। ইংরেজি নাম চরহবধঢ়ঢ়ষব. বৈজ্ঞানিক নাম অহধহঁং ঈড়সড়ংঁং আমাদের দেশে বিভিন্ন মওসুমে হরেক রকম ফলের সমাহার দেখা যায়। যে জন্য বলা হয় বাংলাদেশে বারো মাসে তেরো ফল হয়। তোরো ফল বলতে হরেক রকমের ফল বোঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন রোগ হয়। কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহ এসব মওসুমি রোগ প্রতিরোধ করতে নানা প্রকার মওসুমি ফল দিয়েছেন, যেসব ফল বেশি খেলে ওইসব মওসুমি রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এসব ফল কখনো প্রতিরোধক আবার কখনো প্রতিষেধক। আনারস এমনি একটি মওসুমি ফল। আনারসে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম। আনারস বর্ষাকালীন ফল বলা হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। এখন বর্ষাকাল। তাই বাজারে এসেছে নানা জাতের আনারস। যেমন হানিকুইন, জলডুগি, ক্যালেন্ডার, মধুপুরি, জায়েন্ট কিউ, ঘোড়াশাল ও পাহাড়ি ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে হানিকুইন পাইনঅ্যাপল, সর্বশ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয়। এগুলো আকারে ছোট কিন্তু মিষ্টি। অন্যান্য আনারস টক বা টকমিষ্টি স্বাদের। বাংলাদেশের কোনো কোনো এলাকায় পাকা আনারস রান্না করে খাওয়া হয়। আনারস দিয়ে নানা প্রকার খাদ্যও তৈরি হয়। বাজারে আনারসের জেলি, ভিনেগার, জুস স্কোয়াশ পাওয়া যায়। আনারস বেশ পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। আগেই বলা হয়েছে, এই ফল নানা রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক। বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন চারদিকের মাটি ভেজা থাকে এবং মওসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়, আমাদের ঘরে ঘরে সবার সর্দিজ্বর, গাব্যথা, মাথাধরা দেখা দেয়। তখন আনারস খেলে বা এর রস খেলে সুস্থ হওয়া যায়। তবে সাবধান, আনারস খেয়ে বা এর রস খেলে কেউ দুধ পান করবেন না। তাহলে পেটে বিষক্রিয়া হতে পারে। যা বিপজ্জনক।
ওষধিগুণ : আনারসের কিছু ব্যবহার ও প্রয়োগ জানা থাকলে উপকৃত হওয়া যায়। যেমনÑ আনারসের পাতার ডগার গোড়ার সাদা অংশ বেটে দু-তিন ফোঁটা চুনের পানি দিয়ে শিশুদের খাওয়ালে কৃমি বের হয়ে যায়। টেবিল চামচের এক চামচ খাওয়াতে হয়। অথবা কচি ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সাখে মিশিয়ে সেবন করলে ক্রিমির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ যা ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দিজ্বর ও কাশির প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক। কেউ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে দিনে দু-তিনবার আনারস খেলে ভালো হয়ে যায়। তবে আনারস খেয়ে দুধ চা বা দুধ খেলে বিপদ আছে। যাদের অজীর্ণ বা হজমের গোলযোগ আছে তাদের আনারস খাওয়া চলবে না। সুখবর হলো, গবেষকেরা বলছেন, প্রতিদিন এক গøাস আনারসের রস পান করলে মোটা মানুষের স্থুলতা বা ওজন কমে সপ্তাহে দশ পাউন্ড। পাকা আনারস বলবৃদ্ধি করে, কফ, পিত্তবর্ধক, পাচক ও ঘর্মকারক। কাঁচা ফল গর্ভপাতকারী। পাকা ফলের সদ্য রসে ব্রোমিলিন নামক এক জাতীয় জারক রস থাকে বলে এটি পরিপাক ক্রিয়ার সহায়ক হয় এবং পাÐুরোগে হিতকর। তাই স্বাদ গন্ধে চমৎকার আনারস ফল, রস দেয় টাকা দেয় আরো দেয় বল। সবশেষে এ সত্যটি মনে রাখুনÑ গাছের মতো বন্ধু নাই, খাদ্য পুষ্টি ওষুধ পাই।
ডা. মাও. লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট, ০১৭১৬২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।