২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সবুজ রঙের সবজি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখা উচিত আমরা সবাই জানি। কিন্তু জানেন কি একইরকমভাবে কমলা রঙের ফল-সবজি রাখাও প্রয়োজন. কারণ এগুলো ভরপুর বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে। এছাড়াও এগুলোতে জেক্সাথিন, ফ্লেবানয়েড লাইকো প্যান, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ থাকে। এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ১০০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। কমলালেবু, পেঁপে, আম, মাস্ক মেলন, অ্যাপ্রিকট, পিচ, আনারস, গাজর, কুমড়ো, ভুট্টা, হলুদ বিট এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আমাদের রোজকার খাবার তালিকায় রাখা প্রয়োজন। কারণ- চোখ ভালো রাখে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা অন্ধত্বের সম্ভাবনা কমায়। প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ব্যাড কোলেস্টেরল কমায়। শরীরের পেশি ও লিগামেন্টের ক্ষমতা বাড়ায়। শিরার-উপশিরার ক্ষত সারায়। কোলোজেন তৈরি করে যাতে ত্বক ভালো থাকে। স্ট্রেচ মার্ক কমায়। শরীরে ব্যাকটেরিয়া, ক্ষতিকর রেডিক্যালসের সংখ্যা কমায়। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যানসার, রিডমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কমায়। অ্যান্টাইলোজিস স্পন্ডাইলোসিস আটকায়। ওবেসিটি, অতিরিক্ত ওজন, সুগার, হজমের গোলমাল, গাইনোকলজিক্যাল ও হরমোনাল সমস্যা কমায়। কমলা রঙের ফল ও সবজি শরীরের বেশিরভাগ ঘাটতি মেটাতে পারে। কমলালেবু : কমলালেবুতে ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট থাকে। ১৩০ গ্রাম লেবুতে ভিটামিন সি ১১৬.১ শতাংশ, ফাইবার ১২.১ শতাংশ, ফোলেট ৯.৮ শতাংশ, ভিটামিন ডি ১৭.৩ শতাংশ, পটাশিয়াম ৬.৭ শতাংশ, ভিটামিস এ ৫.৮ শতাংশ থাকে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার জন্য কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, লাং ক্যানসার, ওরাল ক্যানসারের প্রবণতা কমায়। হলুদ বা কমলা রঙের সবজি ও ফলে লাইমোনিম থাকে। এটি ত্বকের ক্যানসার, টিউমার ও সিস্ট হতে দেয় না। ত্বকের জ্বালা, ঠাÐা লাগা কমায়। কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হার্ট-এর সমস্যা কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, ফিশার যাঁদের আছে তাঁদের গোটা লেবু খাওয়া উচিত। লেবুর রস ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি হতে দেয় না। এই ক্যালশিয়াম অক্সারেটের জন্যই কিডনিতে পাথর হয়। গোটা লেবু ডায়াবেটিস গøুকোজ তৈরি কমায়, ওজন কমায়। কমলালেবুর ফাইবার পেট ভরা রাখে। এতে আছে নোবিলেটিন। এই রাসায়নিক শিরা ও ধমনীতে ফ্যাট জমতে দেয় না। পানির ঘাটতি কমায়। আয়রনের ঘাটতি মিটিয়ে অ্যানিমিয়া সারায়। এতে থাকা ভিটামিন সি খাবার থেকে আয়রন শুষে নিয়ে রক্তে মিশতে সাহায্য করে।
হলুদ রং-এর সবজি গাজরে পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ফ্লেবানয়েড, ভিটামিন ডি, ফ্লোটেড এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, মিনারেলস, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়া ও ফাইবার। গাজর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়। ত্বকে অ্যাকনে হতে দেয় না। গাজর একদিকে যেমন খাওয়াও উপকারী, সেরকম আবার ত্বকে লাগানোও যেতে পারে। মুখের ত্বকে বø্যাক হেডস রোধ করে। ইন্টারন্যাল হেমারেজ প্রতিরোধ করতে পারে। মহিলাদের মনোপজের সময় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সেরোটিনিন ট্রাইটোফোন দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেসমুক্ত করে।
কুমড়ো : কুমড়োয় মিনারেলস, কপার, ক্যালশিয়ামল পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ফাইবার থাকে। এটি কোলেস্টেরল কমায়, হার্ট বøকেড, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। কুমড়ো বীজ আমাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি করে, এই হরমোন চট করে বয়স বাড়তে দেয় না। সৌন্দর্য বজায় রাখে, চুলের ডগা ফাটা সারায়, নখ ভালো রাখে। অনেকের ত্বকে ছোটো ছোটো টিউমার হয়। কুমড়ো এই ধরনের টিউমার হতে দেয় না কারণ এতে রয়েছে লাইকোপেল, ক্যারোটিনয়েড, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা টিউমার রোধ করে।
পেঁপে : পাকা পেঁপেতে আছে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম, যা হজমে সাহায্য করে। খিদে বাড়ায়। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য পেঁপে খুব ভালো। পেঁপেতে রয়েছে মেলাটোনিন, যা চোখের আকৃতি ঠিক রাখে। গোলমরিচ দিয়ে পাকা পেঁপে নিয়মিত খেলে হজমের গোলমাল কমে। এছাড়াও লিভারকে সুস্থ রাখতে পাকা পেঁপে ভালো কাজ করে। সকালে প্রাতঃরাশ খাওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ থেকে ৪ টুকরো মাঝারি মাপের পেঁপে খেতে পারেন।
কমলা বেল পেপার : কমলা রঙের বেল পেপার রয়েছে ভিটামিন এ আর ভিটামিন সি। ভিটামিন এ আমাদের দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বক, হাড় ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। কমলা বেল পেপারে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। তাই স্যালাডের সঙ্গে নিয়মিত এই সবজি খাওয়া যেতে পারে।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।