Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বসতবাড়ির মধ্যেই অননুমোদিত ইটভাটা নির্মাণ

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বগুড়া অফিস : বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁতি গ্রামে কোন অনুমোদন ছাড়াই বসতবাড়ি ও আবাদি জমির পাশেই ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রভাবশালী মহল ওই এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে জোরপূর্বক ইট ভাটা নির্মাণ করছেন। এতে এলাকার পরিবেশ বিপর্যায়সহ আবাদী জমিগুলো হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
সরেজমিনে জানাগেছে, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে গোপালনগর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁতি গ্রাম। ওই গ্রামের স্বাধীনপাড়া এলাকায় প্রায় ১৫/১৬টি পরিবার বসবাস করে আসছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে স্বাধীনপাড়া এলাকার ঘন বসতির মধ্যে ও আবাদি জমির পাশেই ধেরুয়াহাটি গ্রামের ফজলার তালুকদারের ছেলে রঞ্জু তালুকদার ইটভাটা নির্মাণ করছেন। তবে ইটভাটা নির্মাণের জন্য বগুড়া জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও রঞ্জু তালুকদার সংশ্লিষ্ট কোন দফতরেরই অনুমোদন নেননি।
বানিয়াগাঁতি গ্রামের স্বাধীনপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও ইয়াকুব আলী বলেন, আমাদের ঘরবাড়ির মধ্যে ও আবাদি জমির পাশেই রঞ্জু তালকুদার জোরপূর্বক ইটভাটা নির্মাণ করছেন। ইটভাটা নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই তিনি এলাকার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ২০ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। তবে এই এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ করা হলে এলাকার কৃষকদের কয়েক একর আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া পাশ্ববর্তী মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও মথুরাপুর বাজারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবেশের বিপর্যায় ঘটবে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করায় তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও কোন প্রতিকার মিলছে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বদলী হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, ইটভাটা নির্মাণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্মাণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ