নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মাতিয়ে আবাহনীর শিরোপা জয়েও রেখেছেন শান্ত অবদান। ১৯ পেরুনোর আগেই পরিণত এই টপ অর্ডার গতকাল লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে দেখা পেয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরি (১০১ নটআউট)। তার সেঞ্চুরি এবং মাহামুদুল্লাহর ফিফটিতে (৭৭) চড়ে পারটেক্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতে (৭ উইকেট) প্রতিপক্ষদের ছুড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ।
আবাহনীর শক্তিটা এবার আবর্তিত হচ্ছে চার পারফরমারকে ঘিরে। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও আবাহনীর ফিনিশার মোসাদ্দেক। সাহনুরকে ছক্কায় উইনিং শটে ৬৯ বল হাতে রেখেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে আবাহনী। অথচ এই ম্যাচেও আবাহনীর শুরুটা হয়নি ভালো। পারটেক্সের ২৩৪/৭ এর জবাব দিতে নেমে বিকেএসপি ‘থ্রি’ তে ভালো ঝাঁকুনিই খেয়েছিল আবাহনী। ভারতের উদয় কাউলকে এনে, প্রথম পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারে সাবধানী ব্যাটিংয়েও হয়নি লাভ ( ৩৩/১), স্কোরশিটে ৪৩ উঠতে ২ টপ অর্ডারের বিদায়ে উল্টো চাপের মুখে ছিল আবাহনী। সেখান থেকে আবাহনীকে টেনে তুলেছে তৃতীয় জুটি। শান্ত-মাহামুদুল্লাহর ১৫০ রানের জুটিটাই ম্যাচে আবাহনীকে বড় জয়ের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে খেলাঘরের বিপক্ষে ৫৯ এরপর গতকাল পারটেক্সের বিপক্ষেও মাহামুদুল্লাহ পেয়েছেন ফিফটি (৫২ বলে ৫ চার ৫ ছক্কায় ৭৭)। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাহামুদুল্লাহ ফিরে আসার পর অবশিষ্ট দায়িত্ব পালন করেছেন শান্ত। চলমান প্রিমিয়ার ডিভিশনের প্রথম ম্যাচে ৫ রানের জন্য ফিফটি মিস করা শান্ত এদিন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন উদযাপন। অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ’য় উদ্বুদ্ধ শান্ত ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিংয়ে ৬৪ বলে ফিফটি, ১০৮ বলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক সেঞ্চুরি উদযাপনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার দাবিটা করেছেন জোরালো। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জিতিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরা শান্ত পাঁচটি চারের পাশে মেরেছেন চারটি ছক্কা। যে চারটি ছক্কার মধ্যে পারটেক্সের ভারতীয় রিক্রুট যশপাল সিংকে এক ওভারে মেরেছেন দু’টি ছক্কা!
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপনে ভীষণ খুশি শান্তÑ ‘লিস্ট এ ক্রিকেটে এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি। তাই অনেক বেশি ভালো লাগছে। উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য আসলেই দারুণ ছিল। প্রিমিয়ার ডিভিশনে শুরুটা ভালো হয়েছে, তাই এটা ধরে রাখতে চাই। চেষ্টা করি সবসময়ই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করার। দলের অবস্থা যখন যেমন থাকে সেই অনুযায়ী ব্যাট করতে চাই।’
এদিকে ফতুল্লায় গতকাল ব্রাদার্স ইউনিয়নকে চার উইকেটে হারিয়েও তান্নার জন্য আফসোসে পুড়ছে দোলেশ্বর। সেঞ্চুরি হচ্ছে ধরে নিয়ে ড্রেসিং রুম থেকে দলের সবাই যখন দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাতে প্রস্তুত, ঠিক সে সময়েই বিপত্তি। ব্রাদার্সের পেস বোলার সাদ্দামকে হাফ হার্টেড শট খেলতে যেয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তান্না । ব্রাদার্স ওপেনার জুনায়েদ ১৩ রানের জন্য হাতছাড়া করেছেন সেঞ্চুরি, প্রতিপক্ষ ওপেনারের সেই কষ্টটাই সংক্রমিত করেছে প্রাইম দোলেশ্বর ওপেনার তান্নাকে। হাতের নাগালে থাকা সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন প্রাইম দোলেশ্বর ওপেনার মাত্র এক রানের জন্য (১৪৩ বলে ৯ চার ২ ছক্কায় ৯৯)। ফতুল্লা স্টেডিয়ামে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্র্ণ এই ম্যাচে ব্রাদার্সের ২৪৬/৯ স্কোরের জবাব দিতে ৪৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরকে। জেল খেটে অন্য এক আরাফাত সানির আবির্ভাব দেখেছে প্রাইম দোলেশ্বর প্রথম ম্যাচে (৫ উইকেট), দ্বিতীয় ম্যাচেও উজ্জ্বল এই বাঁ-হাতি স্পিনার (৪/৪৫)। তবে দ্বিতীয় স্পেলে (৪-০-১৮-৪) ভয়ঙ্কর রূপ ছড়ানো আরাফাত সানির বোলিংয়েও লড়াকু পুঁজি ২৪৬/৯) পেয়েছে ব্রাদার্স। তা সম্ভব হয়েছে জুনায়েদ (৮৭)-মিজানুরের (৫৬) ১১৩ রানের পার্টনারশিপে।
ব্রাদার্সের ওপেনিং জুটির জবাব দিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরের দুই ওপেনার (তান্না ৯৯,মজিদ ৪৫), তাদের পার্টনারশিপের ৮৭ রানেই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখেছে প্রাইম দোলেশ্বর। তারপরও ম্যাচকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ দিয়েছে ব্রাদার্স পেস বোলার সাদ্দাম (৩/৫৫)। সøগের ১০ ওভারে ৫৩ রানের টার্গেট পাড়ি দিয়েছে প্রিমিয়ার ডিভিশনের বর্তমানের রানার্স আপ ৯ বল হাতে রেখে। স ং ক্ষি প্ত স্কো র
রূপগঞ্জ-শেখ জামাল
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ৩০৫/৫(৫০.০ ওভার), নাইম ১০৩, মুশফিক ১৩৪, জালাজ সাক্সেনা ২৩*, শাহাদত রাজীব ২/৫২, আবদুর রাজ্জাক ২/৬৩, ইলিয়াস সানি ১/৬৩।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব : ২৩৭/১০( ৪৬.২ ওভার), মাহাবুবুল করিম ৩৬, ফজলে রাব্বী ৩৩, জিয়াউর রহমান ৪২, শরীফ ২/৩১, মাহামুদুল হাসান ১/১৮, মাশরাফি ১/৫০, মোশারফ রুবেল ২/৫৬, আসিফ ২/৪০, নাইম ২/২১। ফল : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মুশফিকুর রহিম (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ)।
আবাহনী-পারটেক্স
পারটেক্স স্পোর্টিং : ২৩৪/৭ (৫০.০ ওভার), সাজ্জাদ ৪৪, তারিক ২৫, যশপাল সিং ৩৩, জুবায়ের আহমেদ ৫০*, জাকারিয়া মাসুদ ২৫, সাইফউদ্দিন ২/৫৬, শুভাগতহোম ২/৪৫, সানজামুল ১/৩০।
আবাহনী লি. : ২৩৭/৩ (৩৮.৩ ওভার), লিটন দাস ২০, নাজমুল শান্ত ১০১*, মাহামুদুল্লাহ ৭৭, মোসাদ্দেক ২৩*, মামুন ১/২০, হাফিজ ১/২৭, রাজিবুল ১/৩২।
ফল : আবাহনী ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : নাজমুল হোসেন শান্ত (আবাহনী)।
প্রাইম দোলেশ্বর-ব্রাদার্স ইউনিয়ন
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ২৪৬/৯ (৫০.০ ওভার), মিজানুর ৫৬, জুনায়েদ ৮৭, মাইশুকুর ৪৭, আরাফাত সানি ৪/৪৫, শরীফুল্লাহ ২/৪৭, এনামুল হক ২/৪৫।
প্রাইম দোলেশ্বর : ২৪৭/৬ (৪৮.৩ ওভার), ইমতিয়াজ তান্না ৯৯, আবদুল মজিদ ৪৫, শাহরিয়ার নাফিস ১৬, পুনিত বিথ ২২, মার্শাল আইয়ুব ৩৩, সাদ্দাম ৩/৫৫, নিহাদুজ্জামান ২/৫০, নাইম হাসান ১/২১।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইমতিয়াজ তান্না (প্রাইম দোলেশ্বর)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।