নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রিমিয়ার ডিভিশনের গত আসরে মোহামেডানকে মুশফিকুর রহিম দিতে পারেননি নির্ভরতা। তবে এবারের আসরের হাসছে তার ব্যাট। তাতেই হাসিটা চওড়া হচ্ছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। প্রথম ম্যাচে ম্যাচ উইনিং ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংসের পর গতকাল করেছেন সেঞ্চুরি (১৩৪)। শুধু নিজেই সেঞ্চুরি করেননি। পার্টনার নাইম ইসলামকেও সেঞ্চুরিতে (১০৩) করেছে উদ্বুদ্ধ। বিকেএসপি ফোর এ এই জুটির ২২৫ রানে ভর করে শেখ জামাল ধানমন্ডী ক্লাবকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়ে (৩০৫/৫) ৬৮ রানে জিতেছে মাশরাফি, মুশফিকুরের লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
শ্রীলংকা সফরে ওয়ানডে সিরিজটা মোটেও ভালো কাটেনি। সেই কষ্টটা লাঘবে নিয়েছেন মুশফিক বেছে ঢাকার প্রিমিয়ার ডিভিশনকে। ইনিংসের মাঝপথে দায়িত্বটা নিতে জানেন, গতকাল তা আরো একবার দিয়েছেন জানিয়ে। শাহাদত রাজিবের তোপে স্কোরশিটে ১৩ উঠতে ২ টপ অর্ডারের বিদায়ে অসহনীয় পরিস্থিতিতে পড়তে দেননি মুশফিক। প্রথম বাউন্ডারির শটে রাজকে বেছে নেয়া মুশফিক ফিফটি উদযাপনে খেলেছেন ৬৯টি বল। পরবর্তী ফিফটিতে লেগেছে তার ৪৫টি বল। ১৪ চার এবং ১ ছক্কায় লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ৮ম সেঞ্চুরির ইনিংসটি থেমেছে ১৩৪ এ-বাঁ হাতি স্পিনার রাজের স্লোয়ারে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুশফিক। তবে প্রথম পাওয়ার প্লেতে রানের জন্য ধুঁকতে থাকা লিজেন্ডস (৩২/২)কে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাতে নাইমের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে ১৯৮ রানে দিয়েছেন নেতৃত্ব মুশফিক। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরির ইনিংসে নাইম ১১৮ বলে করেছেন ১০৩। যে ইনিংসে ৭টি চারের পাশে ছিল একটি ছক্কা। দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে ৩’শ প্লাস স্কোরের মুখ দেখল প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট (৩০৫/৫)। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়ে ৬৮ রানে হারিয়ে দিয়েছে রূপগঞ্জ শরীফ (২/৩১), মোশারফ রুবেল (২/৫৬), আসিফ (২/৪০)ও নাইমের (২/২১) বোলিংয়ে।
উপর্যুপরি ২ ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন রূপগঞ্জের এই রান মেশিন। আয়ারল্যান্ড সফর এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজের এই ব্যাটিং ধারাবাহিতায় সন্তুষ্ট মুশফিক ‘আমরা যারা জাতীয় দলের ক্রিকেটার, এটাই আমাদের দায়িত্ব। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা খেলে তাদের চেয়ে যদি আমরা ভালো না খেলি তাহলে জাতীয় দলে খেলার প্রাধান্যটা কেন থাকবে। সেদিক থেকে আমাদের সেই মান বজায় রাখা উচিত। শুধু আমি নই, জাতীয় দলের সবাই রান করছে। এটা খুবই ভালো লাগছে। আজ (গতকাল) দিনটি আমার দিন ছিল। চেষ্টা করেছি এবং তাতে সফলও হয়েছি। তাই খুব ভালো লাগছে। এসব ম্যাচে রান করলে অবশ্যই অনেক আত্মবিশ্বাস বাড়ে। পরবর্তীতে যে কয়টা ম্যাচ খেলব চেষ্টা করব এ ধারা বজায় রাখতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।