বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শুধু গলাবাজি করলে মানুষের প্রতি দরদ হয় না। গতকাল (শনিবার) নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কার্যালয়ে জঙ্গিবাদ দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত পৌরকর পরিশোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর উদ্দেশে মেয়র নাছির বলেন, টুপি মাথায় দিয়ে মিথ্যাচার করবেন না। মেয়র আমি নিজের ইচ্ছেতে হইনি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। নগরবাসী ভোট দিয়েছেন। আমাকে খাটো করা মানে নগরবাসীকে অপমান করা।
মেয়র নাছির বলেন, ট্যাক্স নিয়ে যে কথাবার্তা তার সঙ্গে নগরবাসী সম্পৃক্ত নন। ১৯৮৫ সালে চসিকের যে হার ছিল। ১৭ বছর মেয়র ছিলেন তিনিও তা অনুসরণ করেছেন। আল্লাহ-রাসূলের নামে শপথ করে বলেন। প্রয়োজনে গোলটেবিল করব। ইতিমধ্যে অনেক দাওয়াত দিয়েছি, আসেননি। মনজুর আলমের আমলে ১৪ হাজার অ্যাসেসমেন্ট করেছেন। আমি সব নিষ্পত্তি করেছি। আমি সাবেক মেয়র যা ধার্য করেছেন তা থেকে কমিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি চুল পরিমাণ দুর্নীতি করিনি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন না। চ্যালেঞ্জ করে বলছি।
পানিবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২১ বছরে বৃষ্টির পানি নামার জন্য নালা হলো না কেন? ফুটপাথ দখল আমি চেয়ারে বসার পর হয়েছে নাকি আগে হয়েছে? বিলবোর্ড কারা বসিয়েছিলেন, অনুমোদন দিয়েছিলেন? আমি তো দিইনি। যাত্রী ছাউনি মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্য কারা বানিয়েছেন? আমি বিশ্বমানের যাত্রী ছাউনি বানাব, আধুনিক পাবলিক টয়লেট বানাব। ১ বছর ৮ মাস ২০ দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। প্রথম মাসে বেতন দিয়েছি ৯ কোটি টাকা। এখন বেতন দিচ্ছি ২০ কোটি টাকা।
পাঁচ বছর পর পুনর্মূল্যায়ন আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এটি না করলে আমাকে ব্যর্থ বলা হবে। মেয়র বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা এখন সবাই অনুধাবন করতে পারছি। ইসলামের নামে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। ইসলামে পেশিশক্তি দিয়ে, জুলুম করে, আত্মঘাতী হয়ে কোনো কিছু অর্জনের সুযোগ নেই। যারা আত্মঘাতী হচ্ছে তারা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। নিরীহ মানুষকে হত্যা করা ইসলাম অনুমোদন করেনি।
মাদক প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, মাদক ইসলামে হারাম। যারা মাদক সেবন ও বিক্রি করছে তারা কবিরা গুনাহ করছেন। মাদকের টাকা জোগাতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, নৈরাজ্য করবে। মাদকমুক্ত শহর করতে পারলে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদক নির্মূল কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছি। যারা মাদক বিক্রি করছে তাদের সমাজ থেকে নির্মূল করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে মাদকাসক্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য চসিক নিরাময়কেন্দ্র খুলবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন পাহাড়তলী থানার ওসি আলমগীর হোসেন, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।