Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিবিএস ক্যাবলসের আইপিও অনুমোদন

| প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বিবিএস ক্যাবলসকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৬০১তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিবিএস ক্যাবলস ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যা দিয়ে প্লান্ট ও মেশিনারিজ ক্রয়, বিল্ডিং নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও’র খরচ বাবদ এই টাকা ব্যবহার করা হবে।
কোম্পানির ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৪৬ টাকা। আর ২০১৬ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৮৭ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড।
এদিকে ওই সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ৫০০ কোটি টাকার বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই বন্ড রূপান্তরযোগ্য হবে না। বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এটি ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। আর ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। বন্ডের অভিহিত মূল্য হবে ১ কোটি টাকা। শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এই বন্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।
গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আর্থিক লেনদেন প্রায় ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। ডিএসইতে ৫৯৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইফনিট লেনদেন হয়েছে।
যা চলতি বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি বা ২ মাস ৭ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময়ের মধ্যে গত ২৬ ফেব্রæয়ারি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ দিকে টানা ৭ কার্যদিবসে গড়িয়েছে শেয়ারবাজারের পতন। এক্ষেত্রে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩১ পয়েন্ট।
গত ৪ এপ্রিল ডিএসইএক্স মূল্যসূচক ছিল ৫৭৭৭ পয়েন্ট। যা সূচকটির যাত্রার প্রায় ৪ বছর আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। তবে এরপর থেকে টানা ৭ কার্যদিবস ধরে পতনে রয়েছে। যা বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪৬ পয়েন্টে। এ হিসেবে সূচক কমেছে ১৩১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৫৭টি বা ৪৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১২১টি বা ৩৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টি বা ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ কোম্পানির।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানির ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২১ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং। লেনদেনে এরপর রয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন, ইভিন্স টেক্সটাইল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আরএসআরএম স্টিল, সিটি ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০৫৯৪ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩৬টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৩৬টির।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনুমোদন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ