Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফাইনালে ভারত

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীলংকা : ১৩৮/৯ (২০.০ ওভারে)
ভারত : ১৪২/৫ (১৯.২ ওভারে)
ফল : ভারত ৫ উইকেটে জয়ী।
বিশেষ সংবাদদাতা : সময়ের ব্যবধান মাত্র ২ বছর। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছে যে দলটি, সেই শ্রীলংকারই কি হতশ্রী দশা! এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের চেনাই যাচ্ছে না এবার। সাঙ্গাকারা, মাহেলা-দুই লিজেন্ডারি নেই, তাদের অবসরে তৈরি হওয়া শূন্যতা যেনো পূরণীয় নয়। বাংলাদেশের কাছে ২৩ রানে হেরে এশিয়া কাপের ট্রফির লড়াইটা হয়ে উঠেছিল দুরুহ, গতকাল ভারতের কাছে হেরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিদায় ঘণ্টা উঠল বেজে। এদিকে বাংলাদেশকে ৪৫ রানে হারিয়ে, চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখা ভারত গতকাল শ্রীলংকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে নিশ্চিত করলো ফাইনাল।
পেস ফ্রেন্ডলি উইকেট থেকে সবুজাভ বর্ণ উঠে যাওয়ার পরও শ্রীলংকা ধুকেছে রানে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত তিন পেসারে ভরসা রেখে। যথারীতি অভিজ্ঞ নেহরার সঙ্গে দুই তরুণ পান্ডে, বুমরার কম্বিনেশনে শ্রীলংকাকে ১৩৮/৯-এ বেধে রাখতে পারাটাই ছিল ভারতের প্রাথমিক জয়। স্কোরশিটে ১৫ উঠতে নেই শ্রীলংকার ২ উইকেট, ৫৭ উঠতে হাওয়া ৪ ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে স্কোরকে ১৩৮/৯ পর্যন্ত টেনে নেয়ার কৃতিত্ব ৫ম জুটির ৪৩। টি-২০ ক্রিকেটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি, এখানেও ব্যর্থ শ্রীলংকা। পুরো ইনিংসে ১৪টি চারের পাশে ছক্কা মাত্র ২টি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেকে কাজে লাগাতে পারেনি শ্রীলংকা (৩১/২), ছক্কার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ত্রয়োদশ ওভার পর্যন্ত। এমন এক ইনিংসে মিডল অর্ডার কাপুগেদারা (৩২ বলে ৩০) ছাড়া বলার মতো স্কোর নেই কারো। বুড়ো নেহরা’র বলে পর্যন্ত কেঁপেছে শ্রীলংকা, তার ২৪ বলে ১২টিই ডট করেছে শ্রীলংকা। তবে বোলিংয়ে সফল বুমরাহ (২/২৭),পান্ডে (২/২৬), অভিজ্ঞ স্পিনার অশ্বিনও সফল (২/২৬)।
মোহাম্মদ আমির ঝড় সামলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে কোহলীর অবদান ৪৯। সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে তিন নম্বরের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলী গতকাল টি-২০ ক্যারিয়ারে ত্রয়োদশ ফিফটি উদযাপন করেছেন। শ্রীবর্ধনেকে বাউন্ডারির চুমোয় ৪৪ বলে ফিফটি উদাযন করে হেরাথকে বাউন্ডারিতে উইনিং শট নিয়েই (৫৬) ফিরেছেন বিজয়ীবেশে। তবে এই ম্যাচেও ভারতের শুরুটা ছিল না প্রত্যাশিত। স্কোরশিটে ১৬/২ থেকে দলটিকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে ২টি পার্টনারশিপ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কোহলী-রায়নার ৪৬ বলে ৫৪’র পর ৪র্থ জুটিতে কোহলী-যুবরাজের ৩৪ বলে ৫১! ক্যান্সার থেকে ফেরা যুবরাজকে এদিন সেই হারানো দিনেই যেনো ফিরে পেয়েছে দর্শক। লংকান বাঁ-হাতি স্পিনার হেরাথকে লং অন, স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ঊপর্যুপরি ২ ছক্কায় ভারতের জয়ের পথটা করেছেন সুগম যুবরাজ। পরের ওভারে তিসারা পেরেরাকে ছক্কা। ৫১ রানের পার্টনারশিপে যুবরাজের অবদান ৩৫! তাতেই ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে ভারত। মালিঙ্গাহীন বোলিং আক্রমণ ভারত ব্যাটসম্যানদের রেখেছে এদিন স্বস্তিতে। লংকান পেস বোলার কুলাসাকেরা (২/২০) ছাড়া এদিন কারো বোলিং ভোগায়নি ভারতকে।
ফেভারিটের মতো তিন জয়ে ভারত শুধু পূর্ণ ৬ পয়েন্টই অর্জন করেনি, নেট রান রেটে ধরাছোয়ার বাইরে সবার (+১.৪৬৭)। সেখানে ৩ ম্যাচে ২ হারে শ্রীলংকার নেট রাট রেট পাকিস্তানেরও নিচে (-০.২৯২)। আজ পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারিয়ে দিলে আনুষ্ঠানিক বিদায় হয়ে যাবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন (শ্রীলংকা), রানার্স আপের (পাকিস্তান)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফাইনালে ভারত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ