Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ কোটিসহ বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলার নয়া ঋণ দেবে ভারত

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এএফপি : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণা দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার হওয়ার পরিচয় বহন করছে। তবে বিরোধপূর্ণ পানি চুক্তি এখনো অধরা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চারদিনের সফরে ভারতে রয়েছেন। নয়াদিল্লিতে তার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর মোদি প্রতিরক্ষা কেনাকাটায় আরো ৫০ কোটি ডলার দেয়ার কথাও ঘোষণা করেন। এ নিয়ে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াল পাঁচ শ’ কোটি ডলার। বহু বছর ধরেই চীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কেনাকাটার প্রধান উৎস। ভারতের পেছন দিকে চীনের ক্রমবর্ধমান স্বার্থে উদ্বিগ্ন মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তর নেতৃত্বের ভ‚মিকা পালন করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
২০১৫ সালে মোদি ঢাকার সাথে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে এক বড় বিরোধের অবসান ঘটে এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন করে উষ্ণতার সঞ্চার হয়। উল্লেখ্য, দু’দেশের মধ্যে ৪০৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে বেসামরিক পারমাণবিক শক্তিসহ ২২টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মোদি বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশ ও তার জনগণের অগ্রগতির পক্ষে থেকেছে। আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ^াসী উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাতগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সহজ শর্তে নতুন ৪৫০ কোটি ডলার লাইন অব ক্রেডিটের ঘোষণা দিয়ে আমি আনন্দিত।  
মোদি বলেন, এ নিয়ে গত ছয় বছরে বাংলাদেশকে দেয়া আমাদের ঋণ বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াল ৮০০ কোটি ডলার। দু’দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে সাফল্য আসেনি। যদিও মোদি বাংলাদেশের কৃষকদের মারাত্মক সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করেছেন। ২০১১সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় এ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা হয়নি। তারপর থেকে তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশ যৌথভাবে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করবে। এ উদ্যোগ পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির চেয়ে ভারতের প্রতি অধিক সহানুভ‚তিশীল হিসেবে দেখা হয়।
শেখ হাসিনা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন। সরকার বলেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয় যাদের অনেককেই হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতাকারী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ভারতের হস্তক্ষেপ সিদ্ধান্তমূলক প্রমাণিত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক প্রসারিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা থেকে গোটা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল লাভবান হবে।



 

Show all comments
  • এস, আনোয়ার ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৫৯ এএম says : 0
    চুক্তির কুটজালে ফালাইয়া আমাগো ৫০০ কোটি ডলার লস করাইলা বন্ধু। তয় মনে রাইখো বন্ধু, সুযোগটা কামে লাগাইবার পারবা না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ