Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তিস্তা চুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা : ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : তিস্তা চুক্তি সময়ের অপেক্ষা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যিনি প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) গঙ্গা চুক্তি করেছেন, একটু অপেক্ষা করুন,  ধৈর্য ধরুন, তিস্তাসহ অন্যন্য নদীর পানি বন্টনের বিষয়টি এবার আরও এক ধাপ অগ্রগতি  হয়েছে, চুক্তি সম্পাদন এখন কিছু সময়ের অপেক্ষা।
গতকাল রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে  স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের জন্য ভারতের জনগণের নেতা নরেন্দ্র মোদী আমাদের দেশের জনগণের কথা ভেবে অনতিবিলম্বে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের যথাযথ উদ্যোগ নিবেন। এটা যত দ্রæত সম্ভব হবে, ততই মঙ্গল হবে। বাংলাদেশের জনগণের আবেগ, অনুভূতিকে বন্ধু ভারত সরকার মূল্য দিবেন, সেটা আমরা আশা করি। এ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মাত্র আরও নতুন উচ্চতায় উন্নতি হবে।
আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক ভারতে সফরে যে ২২টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি হয়েছে, তা কোন গোপন বিষয় নয়, সবই প্রকাশ্য। এ চুক্তির লাইন বাই লাইন পড়ে দেখুন, আর এখানে কোথাও দেশ বিক্রি, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হয়েছে এর প্রমাণ দেখিয়ে জাবাব দিতে হবে। আর যদি তথ্য উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।   
তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরে বিএনপি বলেছিল ফেনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর  বাংলাদেশের থাকবে না, ভারতের অংশ হয়ে যাবে। এখন কি এটা ভারতের অংশ?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা দেশ বিক্রির কথা বলছেন, পাকিস্তানের কাছে তাদের বিবেক বিক্রি হয়েছে, তাদের অন্তর বিক্রি হয়েছে ইসলামাবাদের কাছে।  কাজেই তারা এটা বলবেই। তারা ভারত বিদ্বেষ অপপ্রচার করে, প্রোপাগাÐা করে তারা ভারত থেকে কিছুই আদায় করতে পারে নাই। আমাদের (আওয়ামী লীগ) পলিসি হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমাদের পাওনা আদায় করে নেয়া। বৈরিতা করে কখনো পাওনা আদায় করা যায় না।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, নরেন্দ্র মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর যারা আনন্দে ফুরফুরা ছিলেন, এখন কেন তাদের মনে বিষাদ। এখন কেন মনের জ্বালা। এখন কেন গাত্রদাহ।
কাদের বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে যে কোন চুক্তি আমরা করে যাবো। এটা  কে কি মনে করলো, তাতে আমাদের কিছু যায়, আসে না।   
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দলের প্রতিষ্ঠাতা ৭ মার্চকে স্বাধীনতার সবুজ সংকেত বলে নিবন্ধ লিখেছেন, সেই দল এখন সাত মার্চ পালন করে না। ১৭ এপ্রিল গঠিত সরকারের অধীনে যিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সেই দিনটিও তার দল পালন করে না। এ দিনটির মধ্যেই কি তারা (বিএনপি) ভারতের গন্ধ খুঁজে পান? যারা সাত মার্চ, ১৭ এপ্রিল পালন করে না। তাদের বিবেকতো বিক্রি হয়ে গেছে পাকিস্তানের কাছে।   
দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে নিজের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কোন পিছু টান নেই। নেত্রী আমাকে বড় আশা করে দায়িত্ব দিয়েছেন, তার মুখ আমাকে রক্ষা করতে হবে। আগামী নির্বাচনের জন্য জনগণের সামনে একটি কোন্দল মুক্ত, আধুনিক, স্মার্ট দল উপহার দিতে চাই। দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। স¤প্রতিক কালে দলের অনৈক্যর জন্য মূল্য দিতে হয়েছে। এটা দুর করতে সকলের সহযোগিতা চাই।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • এস, আনোয়ার ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৫৯ এএম says : 0
    সময়ের অপেক্ষাই বটে। অপেক্ষার সময়টা এক সময় জীবনে পরিনত হয়ে যাবে। এক দিন সেই জীবনও শেষ হয় যাবে কিন্তু অপেক্ষার শেষ হবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ