পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের মুদ্রাস্ফীতি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ; যা গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঢাকা কার্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৭ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন এডিবির প্রধান বিশেষজ্ঞ জোৎস্না ভার্মার। তিনি বলেন, ২০১৮ সালেও মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে। ওই সময়ে দেশের মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে এমনটি হবে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এডিবির প্রধান বিশেষজ্ঞ বলেন, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরে রপ্তানিতে স্লথ গতি রয়েছে। ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আবাও ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। দেশের বাইরে কিছু বাংলাদেশি পণ্যের স্থিতিশীল চাহিদার কারণেই এমনটি হতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ারেরও উন্নতি হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স কমেছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার হার ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি কমার হার ৭ শতাংশে এসে দাঁড়াবে। আর আগামী অর্থবছরে এ হার ৪ শতাংশে নেমে আসবে। চলতি অর্থবছরে বিশ্ববাজারে তেলের কমে যাওয়া; সংশ্লিষ্ট দেশে প্রবাসীদের আয়ে করারোপ এবং প্রবাসী শ্রমিকের বেতন হার কমানোর কারণেই রেমিট্যান্স কমেছে বলে দাবি করেছেন জোৎস্না ভার্মার। তিনি আরও বলেন, সামগ্রিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশে উৎপাদনশীল খাতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এটা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আধুনিক সেবাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার বাড়াতে হবে। এছাড়া কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।