Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ আনোয়ারায় বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ফসলের মাঠে যেন এখন সবুজের বিছানা। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। চতুর্দিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের হৃদয়ে সঞ্চারিত হচ্ছে ভিন্ন আমেজ। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার কোথাও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ নেই। সেচ মেশিন দিয়ে গভীর থেকে পানি তুলছে কৃষকরা। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তার মাঝেও কর্মবীর কৃষকরা বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে দিন-রাত সমানতালে পরিশ্রম করে আসছেন। সবুজ জমি থেকে এক মুহূর্তের জন্য বসে থাকার সময় নেই কৃষকের। রোপা বোরোর আগাছা ও পোকামাকড় দমন, সেচ ও বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সারের মূল্য কম হলেও সহজলভ্য আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় কৃষকরা বোরো আবাদে বিরাট সুফল পাচ্ছেন। কৃষি কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ৬ হাজার একশ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান সাতশ হেক্টর ও উফশী জাতের ধান ৫ হাজার চারশ হেক্টর জমিতে রোপণ করেছে কৃষকরা। ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের দম ফেলার সুযোগ নেই। ধান গাছ পরিচর্যা ও সেচ দেয়াসহ প্রায় সারাক্ষণই রয়েছে ব্যস্ততায়। দ্রæতগতিতে বেড়ে যাচ্ছে বোরো ধানের চেহারা। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে ধানের থোড়। আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কৃষকরা মনে করছেন, মাঝেমধ্যে নানামুখী সমস্যায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে এটি সত্য। কিন্তু বর্তমানে কোনো সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকদের শেষ হাসিটা অ¤øান থাকে অর্থাৎ ধান ঘরে তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত যাতে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় সেই প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার জুঁইদন্ডী গ্রামের কৃষক খুইল্যা মিয়াসহ এলাকার কৃষকরা বলেন, এবার আনোয়ারার প্রতিটি গ্রামে প্রায় জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এখন সবুজে সবুজে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। ভালো ফলন হবে বলে আমরা আশা করি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দেবনাথ জানান, মাঠজুড়ে ধান গাছে সবুজের সমারোহ। ধানের গাছ দেখে আশা করা যাচ্ছে, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ার আলম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধান হলো উফশী ব্রি-ধান ২৬, ২৮, ২৯, ৩৬, ৪৭, ৪৮, ৫৮, ৬১, ৬৩, ৬৬, ৬৭। উফশী বিআর-১৪, ১৬, ২৬, হাইব্রিড জাতের ধান-হিরা, সম্পদ, শক্তি, টিয়া, এসএল-৮৮ ও ধানী গোল্ড। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম উদ্দিন ইনকিলাবকে জানান, আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কীটনাশক, রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও পোকামাকড় দমনের ক্ষেত্রে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছে। এর ফলে কৃষকরা সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক তাদের ফসলি জমিতে প্রয়োগ করতে পেরেছে। আশা করা যাচ্ছে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে অন্য বছরের চেয়ে এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাঠে


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ