পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের মসুল শহরে অবস্থিত সর্ববৃহৎ বাঁধ যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের জরুরিভিত্তিতে ইরাক ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে ওয়াশিংটন। জিহাদি গোষ্ঠী আইএস অধিকৃত ইরাকের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর মসুলে অবস্থিত বাঁধটি ভেঙে গেলে মুহূর্তের মধ্যে শহরটি ২১ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন পানিতে প্লাবিত হবে বলে মার্কিন নিরাপত্তা বার্তায় বলা হয়েছে। অপরদিকে, টাইগ্রিস নদীর উজানে অবস্থিত অন্যান্য শহরের মধ্যে তিকরিত, সামারা ও রাজধানী বাগদাদও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্লাবিত হবে বলে নিরাপত্তা বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে। নিরাপত্তা বার্তায় বলা হয়, ঠিক কখন বাঁধটি ধসে পড়বে তা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এড়ানোর জন্য বাঁধের আশপাশের অঞ্চল থেকে জরুরিভিত্তিতে লোকজন সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি বলেন, নিরাপত্তা সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে তবে পরিস্থিতি এতটা আশঙ্কাজনক নয়। ২০১৪ সালে আইএস বাঁধটি দখল করার পর আশঙ্কা করা হয়েছিল তারা বাঁধটি ধ্বংস করে মসুল ও বাগদাদের হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন জোটের বিমান হামলার সহায়তায় বাঁধটি পুনর্দখল করে ইরাকি বাহিনী। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণে বিঘœ ঘটায় বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দেয়। সে সময় জরুরিভিত্তিতে বাঁধটি মেরামতের জন্য একটি ইতালিয়ান কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা জানায়, ১৯৮০ সালে বাঁধটি নির্মাণকালীন সময় থেকেই এটি অবকাঠামোগত ত্রুটিযুক্ত। মসুল বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ডিপার্টমেন্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হোসেন হামাদ বলেন, বাঁধটি প্রথম থেকেই ১০০% নিরাপদ ছিল না। ইরাকি পানি সম্পদমন্ত্রী গতমাসে বলেন, বাঁধটি ধ্বংসের আশঙ্কা কম এবং এর বিকল্প হিসেবে নতুন একটি বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।