পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই শান্তি-প্রস্তাবকে পাকিস্তান স্বাগত জানালেও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছিলো। ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ এ অঞ্চলের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসতে পারে। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি শান্তি-প্রস্তাব দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী এ কথা বলেন। হেলি বলেন, মার্কিন প্রশাসন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর সম্পর্কের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তাই ট্রাম্প প্রশাসন চায় দুই দেশের এই অব্যাহত সংঘাতের অবসান ঘটুক। তিনি নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকা জরুরি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যাবধান কমিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে। প্রশাসনের কাছে বিষয়টি উদ্বেগজনক মনে হওয়ায় শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠানের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি মনে করেন। এদিকে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটনে বলেন, পাকিস্তান এ ধরনের উদ্যোগের প্রতি বরাবর আগ্রহী ছিল। কারণ, পাকিস্তান ভারতের সাথে সব সময় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চায়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ভারত ও পাকিস্তান বাস্তবিকভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুললে উভয়ই লাভবান হবে। উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে সরাসরি আলোচনায় বসতে উৎসাহিত করি। তারা অবশ্য এটাও ব্যাখ্যা করেছে, যুক্তরাষ্ট্র কেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ভালো সম্পর্ক চায়। ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক উভয় দেশ এবং এ অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বলয় সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে, মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিবৃতির শেষ বাক্যে বলা হয়- এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি রয়েছে এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে ব্যাপক মতপার্থক্য আছে, তা দূর করতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই আলোচনায় বসার জন্য উৎসাহিত করতে পারে।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ বৈরিতার অবসান ঘটাতে আমরা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। ভারত দু’দেশের ব্যাপারে আলোচনায় জাতিসংঘ বা যুক্তরাষ্ট্র কারোই অন্তর্ভুক্তি চায় না। এদিকে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীর নিয়ে দু’ দেশের মধ্যে ব্যাবধান ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে হেলির উদ্যোগের ব্যাপারে বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়নি। ভারত সন্ত্রাস ও সহিংসতার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও তারা জানিয়েছে, পাকিস্তান তার মাটি থেকে আন্ত সীমান্ত সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ভারত এখনও মনে করে সন্ত্রাসবাদের জন্য পাকিস্তান এককভাবে দায়ী এবং এ অঞ্চলের শান্তি নিরাপত্তার জন্য সেটাই একমাত্র হুমকি। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।