রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমিনুল হক, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : বর্ষা শুরুর আগেই নয় বরং বৈশাখ আসার আগেই সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আর এক দফা বাড়ল সবজির দাম। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগি, মাছ ও মাংসের দাম কমেনি। এখনো চৈত্র যায়নি, আসেনি বৈশাখও তবুও আগাম বৃষ্টিপাতের জন্য বাজারে আর এক দফায় বাড়ল সবজির দাম। গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগি, মাছ ও মাংসের দাম কমেনি। এবার আগাম বৃষ্টিপাতে মৌসুমি ফসল ও রবিশস্য নষ্টের কারণেই সবজির দাম বেড়েছে বলে উল্লেখ করছেন সবজি বিক্রেতারা। আর তাই রমজানে কি হবে তা নিয়ে শংকায় ক্রেতাসাধারণ। তবে এখনো মিরসরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৌসুমি সবজির ক্ষেত থেকে ভালোই ফলন মিলছে বলে জানা যায়। কিন্ত পাইকাররা তা চড়াদামে আবার কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় বাজারে উঠছে না এসব সবজি। গত মঙ্গলবার মিরসরাইয়ের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিপাতসহ নানা অজুহাতে বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে প্রায় সব সবজির। তবে যে কারণেই সবজির বাড়–ক, দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভোক্তারা। এছাড়া বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচা মরিচের দাম প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ১০০ টাকা থেকে একদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে ২০০ টাকা হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন দাম কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও ধীরে ধীরে এখন আবার তার দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা গত কয়েক দিন আগেও বিক্রি হচ্ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। যা গত দুইদিন আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, যা ছিল ৪০-৪৫ টাকা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। যা গত দুইদিন আগে ছিল ৪০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬-১৮ টাকায়, শসা ৫০ টাকায় ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যা গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় একই দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে না, দাম কমেনি মুরগি, খাসির মাংস ও মাছের। বাজারে প্রতি কেজি মুরগি (ফার্ম) বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছে, বৃষ্টির সময় সময়মতো সবজি বাজারে আসতে পারে না। আবার অনেকের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। মিরসরাই সদর বাজারের সবজি বিক্রেতা নুরুল হক (৩৮) বলেন, যেসব সবজি নিচু জমিতে বর্ষার আগে উঠে যেত সেসব জমি তলিয়ে যাওয়ায় সবজির গাছসহ পচে গেছে অনেক স্থানে। তাই সবজির দাম বেড়ে গেছে। তবে সবজির দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শ্রমজীবীসহ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভোক্তারা। বারইয়ারহাট বাজারে বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (৩৫) বলেন, ‘দুই-তিন মাস আগেও মাস কাটানো নিয়ে ভাবতাম না। কিন্তু কিছুদিন আগে বাড়ল বাড়িভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব জিনিসের দাম, এখন আবার বাজারে বাড়ছে সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সবকিছুর দাম। দুশ্চিন্তায় না পড়ে কি উপায় আছে?’ মিঠাছরা বাজারে বাজার করতে আসা আজিজ (৫৩) নামের সিএনজি চালক বলেন, দিনে যা ইনকাম করি তা দিয়ে মাছ, মাংসের কথা চিন্তাও করতে পারি না। তাই সবজি দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতাম। এখন সবজির দাম যে হারে বাড়ছে না খেয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই।’ এই বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, আমরা এবারের আগাম বৃষ্টিতে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছি। পাশাপাশি সহনশীল বাজার মূল্যের বিষয়েও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।