পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ফের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট আনাগোনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সিন্ডিকেট তাদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সিন্ডিকেটের এই ষড়যন্ত্র মানবে না রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। এটি হলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাধারণ শ্রমিকদের তখন সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিয়ে মালয়েশিয়ায় যেতে হবে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট বায়রা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক ড. মোহাম্মদ ফারুক এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম ও মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ড. ফারুক বলেন, ‘২০১৬, ১৭ ও ১৮ সালে ১০ জন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি করা হয়। ওই সময় শ্রমিক রফতানি হওয়ার কথা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। কিন্তু যেতে পেরেছে মাত্র দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ শ্রমিক। ১২ লাখ শ্রমিক চাকরির সুযোগ হারিয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়েছে ওই সিন্ডিকেট। যা অনেকেই দিতে না পেরে ভিসা নিতে পারেননি। অথচ সরকার নির্ধারিত ফি ছিল এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। আবার যে ১২ লাখ শ্রমিক যেতে পারেননি তাদের মেডিকেল রিপোর্টের নামে পাঁচ হাজার ২০০ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।’
২০১৮ সালের পর মালয়েশিয়ায় সরকার পরিবর্তন হলে ওই সিন্ডিকেটকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। ড. ফারুক বলেন, মালয়শিয়ার শ্রম বাজার গত ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ে পরও জনশক্তি রফতানি এখনো শুরু করা যায়নি। এর মূল কারণ হচ্ছে সেই সিন্ডিকেট ফের নিজেদের মাধ্যমে জনশক্তি রফতানি করতে চাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রচুর পরিমাণে বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন। আগামী তিন বছরে তাদের প্রয়োজন অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ লোকের।
ড. ফারুক বলেন, ‘আমরা চাই মুক্ত বাজার অর্থনীতির মতো সব রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানির সুযোগ পাক। এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। এমনকি মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।