পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : ষড়ঋতুর বাংলাদেশে জ্যৈষ্ঠ মাসকেই সাধারণত মধুমাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু এ মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে আরও মাসাধিককাল বাকি থাকলেও চৈত্রের শুরু থেকে কুমিল্লার ফলের বাজার দখলে নিয়েছে ভারতীয় আম। আমদানিকৃত ভারতীয় আম কুমিল্লা নগরীর ফলের দোকান থেকে শুরু করে পথে-ঘাটে মিলছে। তবে স্বাদ দেশি আমের ধারে কাছেও নেই।
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, শাসনগাছা, টমছন ব্রিজ, চকবাজার এলাকার ফল দোকান ও ফুটপাতের ফল বিক্রেতারা মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই ভারতীয় বৈশাখী আম বিক্রিতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। সুন্দরী, লালমনি, গোলাপফ্রেশ, পিএম নামের এসব ভারতীয় আম দেখতে সুন্দর দেখালেও স্বাদের দিক থেকে এদেশের আমের ধারে-কাছেও নেই। তারপরও বৈশাখ আসি আসি বলে কথা! তরমুজ, বাঙ্গির পাশাপাশি বৈশাখী ফল হিসেবেই ভারতীয় আম খুশি মনেই কিনে নিচ্ছেন। এদেশের আমদানিকারক বেশ কটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এসব আম এনে থাকেন। চট্টগ্রামে কদমতলী, ফেনির মহিপাল ও ঢাকার বাদামতলীর আড়ত থেকে কুমিল্লার ফল বিক্রেতারা ভারতীয় আম কিনে এনে থাকেন। কুমিল্লার বাজারে ভারতীয় এসব আম ২০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আকর্ষণ করতে দোকানের কাঠের গ্যালারিতে বেশ পরিপাটি করেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে ভারতীয় আম। কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জের বেশ ক’জন ফল বিক্রেতা জানান, চৈত্রের আগ থেকেই ভারতীয় আম আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ কাঁচা এ আম বাংলাদেশে আনা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফেনির বিভিন্ন আড়ত থেকে কুমিল্লার ফল বিক্রেতারাও কাঁচা আম এনে থাকেন। তারপর পত্রিকার কাগজ, কাঁথা দিয়ে ঢেকে কাঁচা আম জাঁকে পাকানো হয়। এ আম পাকানোর জন্য কোন ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয় না। স্বাদের দিক থেকে মন্দের ভালো বলা যায়। বাংলাদেশের আমের স্বাদ মিলবে না ভারতীয় আমে। বাজারে এসেছে, তাই বেচাবিক্রি চলছে।’ নগরীর বেশ ক’জন বড়ো মাপের ফল বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত এসব আমের চাহিদা বাজারে বৈশাখের ২০-২৫ দিন পর্যন্ত থাকে। তারপর বাংলাদেশের আমের আগমন ঘটবে। বৈশাখের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে আসতে শুরু করবে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার আম। আর মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই বাজার রাঙ্গিয়ে তুলবে রাজশাহী ও রংপুরের আম।
এদিকে বেশ ক’জন ক্রেতার সাথে কথা হয় ভারতীয় আমের প্রসঙ্গ নিয়ে। তারা জানান, বর্তমানে বাজারে আমদানিকৃত ভারতের যেসব আম বাজারে মিলছে তা দেখতে যতোটাই দৃষ্টিনন্দন হোক না কেনো, স্বাদ কিন্তু দেশি আমের মতো নয়। বাজারে থাকা এসব আম শখের বশে বা অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্যই মূলত লোকজন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আমের স্বাদ তো আর ভারতের আমে পাওয়া যাবে না। এসব আম দেখলে উন্নতজাতের মনে হয়। তাই বলে এসব আমের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়া উচিত নয়। আম খাওয়া নিয়ে তাড়াহুড়ার জায়গা থেকে ক্রেতাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক অপেক্ষা করলেই কুমিল্লার আমপ্রেমী ক্রেতাদের স্বাদ মেটাবে এদেশের রসালো আম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।