নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : টেস্টের সেঞ্চুরি পূরন করেছে বাংলাদেশ, তবে সংখ্যার দিক থেকে মাত্র ৪টি টেস্ট খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। ২০০৬ সালে ফতুল্লায় হাবিবুল বাশার সুমনদের কাছে বড় ঝাঁকুনি খাওয়ার পর গত ১১ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন টেস্টই খেলেনি অস্ট্রেলিয়া! বার বার নানা অজুহাতে বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট খেলা থেকে বিরত থেকেছে অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি’র এফটিপিতে ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ থাকা সত্তে¡ও বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট বাদ দিয়ে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজ। চলমান এফটিপিতে ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে থাকা ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিরাপত্তা ইস্যুতে স্থগিত করেছে ঠিক সিরিজ শুরুর প্রাক্কালে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা ছুঁতো অজুহাতে। পূর্ণ নিরাপত্তায় গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনে আইসিসি’র প্রশংসা কুড়িয়ে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় স্থগিত ওই টেস্ট সিরিজটি এ বছরের আগস্টে খেলতে বাংলাদেশ সফরের প্রতিশ্রæতি দিয়ে এখন সফরটি নিয়ে নুতন করে টালবাহানা শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আগস্টে নয়, শীত মওশুমে বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাব কিছুদিন আগে দিয়ে বিসিবি’র সম্মতি না পেয়ে এবার টেস্ট সিরিজের পরিবর্তে ওয়ানডে সিরিজে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাও আবার আগস্টে নয়, আগামী অক্টোবরে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ভারত সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশে দল পাঠাতে চায় তারা !
সম্প্রতি টেস্টে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে ভয়ংকর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র’ করে শ্রীলংকার মাটি থেকে ১-১ এ টেস্ট সিরিজ ড্র’ করে অন্য উচ্চতায় উঠেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই পারফরমেন্সে অস্ট্রেলিয়াকে উদ্দেশ্য করে সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজের ধারাভাষ্যকর ডিন জোন্স। এই বার্তাতেই যেনো ভয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ! তা না হলে হঠাৎ এই বিকল্প প্রস্তাব কেন ? তাছাড়া আগামী জুলাই আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে পূর্নাঙ্গ সিরিজ এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দ.আফ্রিকা সফর যখন ঠিক হয়ে গেছে, তখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবে নুতন করে সূচি ঠিক করবে কিভাবে বিসিবি ?
বাংলাদেশে দফায় দফায় নিরাপত্তা পর্যবেক্ষন করে,বিসিবিকে আশ্বস্ত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই টালবাহানা দুরভিসন্ধির পর্যায়েই পড়ে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র বলেছেন অন্য কথা ‘নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরে আমরা আশাবাদি। তবে বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান।এ ব্যাপারে আমরা নিয়মিত অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নিজস্ব নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সতর্কবার্তা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড ওটাই এখন বড় ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।