পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আজ নারী ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়। বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন নেই। দেশের ৮৫ভাগ নারী আজ নিগৃহীত। সমাজে কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। কে কখন গুম হয়ে যায় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জানমালের নিশ্চয়তা নেই। কত মায়ের বুক খালি হচ্ছে। আমরা পত্রিকার পাতা দেখেই তার পরের দিন ভুলে যাই। কিন্তু তার মা জানে সন্তান হারানোর বেদনা।
গতকাল রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী ও সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, কোনো নির্বাচনেই আমরা সুবিচার পাইনি। ১৯৯১ সালে জেলে, ৯৬ সালেও জেলে থেকে নির্বাচিত হয়েছি। তখন জেলের দরজা খুলে দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করে বিএনপিকে সমর্থন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আমার ও জাতীয় পার্টির প্রতি যে অত্যাচার করেছে, তার জন্য বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে কি পেলাম। বিনিময়ে পেলাম ছয় মাস জেল আর পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা। আর নির্বাচনে অযোগ্য। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিদান।
সম্মেলনে এরশাদ বলেন, যুবকরা আজ হতাশায় নিমগ্ন। কর্মের অভাবে মাকদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। দেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি না। ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যদিওবা চাকরি হয় তার জন্যও দিতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ।
তিনি বলেন, বিএনপি আমাদের প্রতি যে অত্যাচার করেছিল, পার্টি অফিসে তালা মেরেছিল, সকল নেতাকে জেলে নিয়েছিল, তারপরও জাতীয় পার্টি বেঁচে আছে। আমরা মানুষ হত্যা করি নাই, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করি নাই। যার কারণে মানুষের মনে আমরা আজীবন বেঁচে থাকব।
সংগঠনের আহŸায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ফকরুল আহসান শাহাজাদার সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতি, মশিউর রহমান রাঙ্গা, উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ টি এম রফিকুল ইসলাম, যুবনেতা ডা. আবুল কাসেম, তিতাস মোস্তফা, এ কে এম মোস্তফা, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
সম্মেলনে রওশন এরশাদের বক্তব্য চলাকালে কর্মীরা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বক্তব্য দিতে দাঁড়ালেই শুধু তোমরা এসব কথা বলো। মামলার বিষয়ে পাবলিকলি কিছু বলা যায় না। আমি বিরোধীদলের নেতা হয়েছি মাত্র তিন বছর। এরআগে এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কার কাছে বলতে? কিছু জানতে চাইলে বাসায় এসো, তখন বলব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।