Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কে কখন গুম হয়ে যায় তার কোনো নিশ্চয়তা ইেন : এরশাদ

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আজ নারী ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়। বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন নেই। দেশের ৮৫ভাগ নারী আজ নিগৃহীত। সমাজে কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। কে কখন গুম হয়ে যায় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জানমালের নিশ্চয়তা নেই। কত মায়ের বুক খালি হচ্ছে। আমরা পত্রিকার পাতা দেখেই তার পরের দিন ভুলে যাই। কিন্তু তার মা জানে সন্তান হারানোর বেদনা।
গতকাল রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী ও সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, কোনো নির্বাচনেই আমরা সুবিচার পাইনি। ১৯৯১ সালে জেলে, ৯৬ সালেও জেলে থেকে নির্বাচিত হয়েছি। তখন জেলের দরজা খুলে দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করে বিএনপিকে সমর্থন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আমার ও জাতীয় পার্টির প্রতি যে অত্যাচার করেছে, তার জন্য বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে কি পেলাম। বিনিময়ে পেলাম ছয় মাস জেল আর পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা। আর নির্বাচনে অযোগ্য। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিদান।
সম্মেলনে এরশাদ বলেন, যুবকরা আজ হতাশায় নিমগ্ন। কর্মের অভাবে মাকদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। দেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি না। ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যদিওবা চাকরি হয় তার জন্যও দিতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ।
তিনি বলেন, বিএনপি আমাদের প্রতি যে অত্যাচার করেছিল, পার্টি অফিসে তালা মেরেছিল, সকল নেতাকে জেলে নিয়েছিল, তারপরও জাতীয় পার্টি বেঁচে আছে। আমরা মানুষ হত্যা করি নাই, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করি নাই। যার কারণে মানুষের মনে আমরা আজীবন বেঁচে থাকব।
সংগঠনের আহŸায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ফকরুল আহসান শাহাজাদার সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতি, মশিউর রহমান রাঙ্গা, উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ টি এম রফিকুল ইসলাম, যুবনেতা ডা. আবুল কাসেম, তিতাস মোস্তফা, এ কে এম মোস্তফা, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
সম্মেলনে রওশন এরশাদের বক্তব্য চলাকালে কর্মীরা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বক্তব্য দিতে দাঁড়ালেই শুধু তোমরা এসব কথা বলো। মামলার বিষয়ে পাবলিকলি কিছু বলা যায় না। আমি বিরোধীদলের নেতা হয়েছি মাত্র তিন বছর। এরআগে এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কার কাছে বলতে? কিছু জানতে চাইলে বাসায় এসো, তখন বলব।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:০৭ পিএম says : 0
    আবারও এরশাদ চাচা খুবই সুন্দর কথা বলেছেন আক্ষেপের শুরে। তিনি বলেন, “বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে কি পেলাম। বিনিময়ে পেলাম ছয় মাস জেল আর পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা। আর নির্বাচনে অযোগ্য। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিদান”। আমি এব্যাপারে এরশাদ চাচার সাথে একমত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মূলক অগণিত মামলা বাতীল করেছে; সেসময়ে এরশাদ চাচার মামলা গুলো বাতীল করে তার সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছিল তাই তাকে মূল্যায়নো করা উচিৎ ছিল ইসলাম প্রতিদানে বিশ্বাসী। ২০১৪ সালে এরশাদ চাচা যেভাবেই হউক নির্বাচনে না গেলে আওয়ামী লীগকে বিশ্ব দরবার মেনে নিতেন না। ২/১ বছরের মাথায় আবার মধ্যবর্তি নির্বাচন দিতে বাধ্য হত বা বিশ্ব শক্তি বাধ্য করাত। কাজেই আমার বিচারে এরশাদ চাচাকে মূলা দেখিয়ে ঝুলিয়ে রেখে জাতীয় পার্টিকে শেষ করে দেয়ার পায়তারায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারন বড় দলের মধ্যে একমাত্র জাপাই হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিশালী আরো একটি দল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জন দরদী ও দেশ প্রেমিক এটা পরীক্ষিত সত্য কিন্তু দেশের স্বার্থে একটি শক্তিশালী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল দাড়া হউক এবং আওয়ামী লীগের প্রতিদন্দি হয়ে উঠুক এই ব্যাপারে তিনি দলের স্বার্থে দেশের সাথে কৃপণতা দেখাচ্ছেন। আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার উচিৎ এরশাদ চাচাকে গৃহ পালিত বিরুধি দল হিসাবে পরিচিত না করিয়ে সত্যকারের বিরুধি দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে দেশে একটি শক্তিশালী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন। তাই দেশের স্বার্থে কৃপণতা ছেড়ে শেখ হাসিনার উচিৎ এরশাদের মামলা গুলো আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ন মামলা হিসাবে গন্য করে তাকে মুক্ত করে দেয়া। এই দেড় বছরে আমরা দেখতে চাই এরশাদ চাচা কিভাবে একটি বিরুধী দল হিসাবে সংসদে এবং রাস্তায় নেমে কাজ করতে পারে। তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি বিএনপির মত দেশদ্রোহী দল বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • এস, আনোয়ার ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:০১ এএম says : 0
    চাচজান, ক্ষমতায় যহন ছিলেন আপনেও তহন আওয়ামী লীগ আর বিএনপি-রে কম দাবড়ানি দিছিলেন.? হেই কথাডা ভুইল্লা গেছেন ক্যান.? তবুও আপনের নিদারুন সৌভাগ্য যে, আপনে আওয়ামী লীগের ছায়ায় আশ্রয় নিছিলেন বইল্লা পার পাইছেন। নাইলে ৬ যুগ জেল খাইট্টা ৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিয়াও আইতে পারতেন না। এমন কইরা কথা কইতাছেন যেন্ প্রধানমন্ত্রী নাইলে প্রেসিডেন্টের পদখান আপনেরে দিয়া দিলে তয় আপনের যথার্থ মুল্যায়ন আর প্রতিদান দেওয়া হইতো। যা পাইছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। আর হ্যাঁ চাচা, আপনের গুমের ডরের কোন কারন নাইক্কা। আপনে গুম হইলেও ঢাকা সিএমএইচ-এ খুঁজলে আমরা আপনেরে পাইয়া যামু।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরশাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ