পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সউদি আরবের নেতৃত্বে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০টি মুসলিম দেশের সেনাবাহিনীর বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। সরকারি বার্তা সংস্থা সউদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) একে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ সামরিক মহড়া হিসেবে বর্ণনা করেছে। এসপিএ’র খবরে বলা হয়, ২০ দেশের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, মিশর, মরক্কো, জর্দান, সুদান প্রমুখ।
থান্ডার অব দ্য নর্থ নামে স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে এই মহড়া শুরু হয় গত শনিবার থেকে। বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, উপসাগরীয় পাঁচটি দেশ কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহারাইন, ওমানও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেনা মহড়ায় বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য রয়েছে। এই মহড়ার মূল লক্ষ্য উন্নততর সেনা প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করা।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক সউদি আরব। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ৩৫টি মুসলিম দেশ মিলে সউদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক জোট গঠন করা হয়। বাংলাদেশও ওই জোটের যোগদেয়। গত মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনে ইরান মদদপুষ্ট শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে সউদি আরব। এবার সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের সাহায্য করতে দেশটিতে স্থল সেনা অভিযানের হুমকি দেয় সউদি সরকার। খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতিস্বরূপ সউদি আরব তুরস্কে জঙ্গি বিমান এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছিলো তুরস্ক এবং সউদি আরব একযোগে সিরিয়ায় হামলা চালাবে। খবর আলজাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।