২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
গরমকালে যে কটি চর্মরোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তার মধ্যে ঘামাচির পরই ব্রণ অন্যতম। গরমকালে এই রোগটি বেশি হয়। কারণ গরমকালে বেশি ঘাম হয় আর শরীর ভেজা থাকে। ঘাম ও ভেজা শরীরই হলো ছত্রাক জন্মানোর উর্বর ক্ষেত্র। ব্রণ অনেকের কাছেই একটি পরিচিত সমস্যা। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যায় ভুগতে পারে। সৌন্দর্য সবার কাম্য। সবাই তরুণ বা যৌবনদীপ্ত থাকতে চায় এবং চাওয়াই স্বাভাবিক। আপনারা জানেন, ব্রণ একটি পরিচিত শব্দ। এ ব্রণ সমস্যা টিনএজার ছেলেমেয়েদের একটি সাধারণ সমস্যা। ব্রণের প্রকোপ বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের হরমোনের অসামঞ্জস্যতার ফলে বৃদ্ধি পায় এবং বয়সের পূর্ণতাপ্রাপ্তির সাথে এর আধিক্য কমে যায়। ব্রণ হলো ত্বকের এক প্রকার রোগ, যা ত্বকে অবস্থিত সেবাসিয়াস গ্যান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতার দরুন, অতিরিক্ত সেবাসিয়াস ফ্লুয়িড তৈরির ফলে সৃষ্টি হয়। এই ফ্লুয়িডগুলো বাইরে বের হতে না পেরে ভেতরে জমে ফুলে ওঠে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। যার ফলে পরবর্তীকালে ফুসকুড়ি আকারে ব্রণের সৃষ্টি করে। কারণ: ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত অবস্থা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ, ঘুম কম হওয়া, গর্ভধারণ, মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ-এর অভাব, স্পর্শকাতর প্রসাধনী ব্যবহার, জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার, সাধারণ দুর্বলতা, পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত ধুলোবালুতে চলাফেরা।
লক্ষণ: মুখমন্ডল, ঘাড়, বুকের ওপরের অংশ ও পিঠে নানা আকৃতির ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়। কখনো পুঁজযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা যায়। লোমক‚পের গোড়ায় পুঁজযুক্ত ফুসকুড়ি বা পুঁজহীন ফুসকুড়ি দেখা যায়। ফুসকুড়িগুলোতে তীব্র ব্যথা হয়। আক্রান্ত অংশ ও আশপাশের অংশ লাল হয়ে যায়। পুঁজযুক্ত ফুসকুড়িতে চাপ দিলে সাদা শাঁস বের হয়। কপাল ও নাকের দুই পাশে ও থুতনির নিচে ছোট ছোট গোটা দেখা যায়। ফুসকুড়িগুলো অনেক সময় নিজে থেকেই ফেটে যায়।
চিকিৎসা : একক ভেষজ হিসেবে, ক্ষেতপাপরা, চিরতা, বননীল, হরীতকী, সাদা চন্দন, মুন্দিফুল, মেহেদিপাতা, জংলিবরই, প্রতিটি উপাদান ৫ গ্রাম করে নিয়ে অর্ধচূর্ণ করে রাতে গরম পানিতে ভিজিয়ে সকালে ছেকে মধুসহ এক মাস সেবন করতে হবে। বাজারে প্রচলিত ওষুধ : * সিরাপ ছাফী অথবা শরবত মুছাফ্ফী তিন চামচ করে দিনে তিনবার সেব্য, *ট্যাবলেট এন্টামিন এক’টি করে দিনে তিনবার সেব্য, * এত্রিফল শাহতারা ৫ গ্রাম করে দিনে দু’বার সেব্য, * মাজুন ওশবা ৫ গ্রাম করে দিনে দু’বার সেব্য, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে * ট্যাবলেট হারবোল্যাক একটি করে প্রতি রাতে সেব্য, *সিরাপ হেপালিন অথবা ইকটার্ন দিনার তিন চামচ করে দিনে তিনবার সেব্য, সাধারণ দুর্বলতা থাকলে * সিরাপ সিনকারা অথবা রিউমা তিন চামচ করে দিনে তিনবার সেব্য,
পরামর্শ : অধিক মসলা, ঝাল ও চর্বিজাতীয় খাবার পরিত্যাগ করা। রাতজাগা ও দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকা। প্রতিদিন অন্তত ২০ গøাস পানি পান করা। বাইরে থেকে ফিরে ভালো সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা। প্রচুর শাকসবজি ও আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ। ফাস্টফুড খাবার পরিত্যাগ করা।
ডা. মাওলানা লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিষ্ট, ০১৭১৬২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।