রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : রূপগঞ্জের দড়িকান্দির ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী হাসু বিবি। ফিরোজ মিয়া ১৫ বছর ধরে অন্য কোথাও বিয়ে করে হাসু বিবিকে ফেলে কোথায় চলে গেছে তা জানে না কেউ। শুধু জানে বেঁচে আছে। তবে সংসারের হাল ধরতে হাসু বিবির ছেলেও কাজে আসে নাই। অভাব-অনটনের সংসার চালাতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল। ঠিক তখন পাশের বাড়ি থেকে একটি রাম ছাগলের ছানা বর্গা পালন শুরু করে। বছর না যেতেই বাচ্চাটি হয়ে ওঠে বড় ছাগলে। এভাবে দু’বছর ব্যবধানে তার ছাগলের সংখ্যা এখন ৫টিতে। মুড়াপাড়ার জমিদার বাড়ির চত্বরের খোলা মাঠে নিজ ছাগল চড়িয়ে সুবজ ঘাস খাইয়ে পালেন ছাগল। এতে বাড়তি খরচ নেই তার। এখন এসব ছাগল থেকে প্রতিদিন দুধ পান প্রায় গড়ে ৩ কেজি। ছাগলের দুধের চাহিদা গরু দুধের তুলনায় বেশি থাকায় হাসু বিবির ভাগ্যের চাকা এতদিনে খুলে গেছে। প্রতিদিন ছাগল থেকে পাওয়া দুধ বিক্রি করে চলে তার সংসার। অন্যদিকে ঈদ উৎসব এলে দু’একটি ছাগল বিক্রি করে জামা-কাপড় কিনে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটান হাসু বিবি। তাই তার মুখের কোণে সুখের হাসি লেগেই থাকে। স্থানীয়রা হাসু বিবিকে হাসি বিবি বলেও ডাকেন। রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ব¡রে তার পালের ছাগল চড়াতে আসেন গত সপ্তাহে। এ সময় কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে। হাসু বিবি জানান, একজন মানুষের আর কি লাগে। আমি সারাদিন এই ছাগলের পিছে পড়ে থাকি। এই ছাগলগুলো সাধারণ নয়। গুণে মানে দামেও বেশ। একেকটি ছাগল সবনি¤œ দাম দশ হাজার টাকা। এর খাসির কদরও বেশ। গত ঈদে একটি খাসি ১৬ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন তিনি। এ দিয়ে নিজের ও পরিবারের লোকজনকে সহায়তা করেছেন। তাই তার সুখ ছাগল পালনেই ফিরেছে বলে দাবি তার। একটি বর্গা ছাগল দিয়ে শুরু করা এ সংগ্রামী নারীর পালে এখন দুটি ছাগল ও একটি খাসি। বকনা রয়েছে আরো ৩টি। এসব দিয়েই চলে তার অভাবের সংসার। তবে তিনি নিজেকে অভাবী ভাবেন না। স্বয়ংসম্পূর্ণ নারী হিসেবে নিজেকে সমাজের অন্যদের মডেলরূপে তুলে ধরেছেন তিনি। তার ছাগল পালন দেখে অনেক বিত্তশালীরাও ঝুঁকছেন এ রামছাগল পালনের দিকে। হাসু বিবি জানান, উপজেলা পশু হাসপাতাল তাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু কোনো ব্যাংক বা এনজিও তার ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা করেননি। তবে সহযোগিতার জন্য কারো কাছে যাননিও। এসব বিষয়ে দড়িকান্দি এলাকার নুরু মিয়া বলেন, হাসু বিবি নিজে ছাগল পেলেই তার সংসারের অভাব দূর করেছেন। এখন তিনি স্বাবলম্বী। তাকে অনুকরণ করে আমিও রাম ছাগল পালন করব বলে মনস্থির করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।