পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তানোর ‘রাজশাহী’ উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ বিএমডিএ’র গভীর নলকূপের এক অপারেটরের বিরুদ্ধে, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক বিবেচনা ও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে আঙ্গুরী খাতুন অপারেটরের নিয়োগ নিয়ে আবার নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজে নলকূপ পরিচালনা না করে তার ভাই কথিত যুবলীগ নেতা আব্দুল হালিমকে দিয়ে পরিচালনা করাচ্ছেন বলে স্কীমের কৃষকগণের অভিযোগ। অভিযুক্ত অপারেটরের অপসারণ ও স্কীমের কৃষকের মতামতের ভিত্তিত্বে অপারেটর নিয়োগের দাবিতে কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। স¤প্রতি স্কীমের কৃষকরা অপারেটরের বিরুদ্ধে ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ, বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযোগের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত ওই অপারেটরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এদিকে বোরো মৌসুমে এই গভীর নলকূপ পরিচালনা করা নিয়ে স্কীমের কৃষকদের মধ্যে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এমনকি খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের পাচন্দর ইউপির ‘জেল নম্বর ৯৩’ ইলামদহী মৌজায় অবস্থিত বিএমডিএ’র গভীর নলকূপের স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামত উপেক্ষা করে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ইলামদহী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদের কন্যা আঙ্গুরী খাতুনকে। কিন্তু অপারেটরের নিয়োগের পর থেকেই আঙ্গুরী খাতুন নীতিমালা লঙ্ঘন করে তার ভাই কথিত যুবলীগ নেতা আব্দুল হালিমকে দিয়ে নলকূপ পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে আব্দুল হালিম সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন ও স্কীমের নিরহ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছে। আর তার চাহিদামত অর্থ দিতে অসম্মতি জানালে জমিতে সেচ দেয়া বন্ধ এমনকি জমির ফসল হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। স্কীমের কৃষক ইলামদহী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র দুরুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে আলু চাষে প্রতি বিঘায় ২৩০ থেকে ২৫০০ টাকা করে সেচ চার্জ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সেচ কার্ড নিয়েও কৃষকরা সেচ দিতে পারেননি আব্দুল হালিমের কারণে, আবার বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘায় ২৪০০ টাকা করে সেচ চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। স্কীমের কৃষক মামুন, সাদেকুল ও সুফিয়ান অভিযোগ করে বলেন, সাব অপারেটর আব্দুল হালিম কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে চাঁদাবাজির পাশপাশি বিদ্যুতের ‘কাটআউট’ পুড়ে গেলে কৃষকদের মাথাপিছু ১০০ টাকা ও আউট পেটের প্যাঁচ কেটে গেলে মাথা পিছু ২০০ টাকা এবং ট্রান্সফরমার বিকল হলে মাথা পিছু ৫০০ টাকা করে আদায় করেন। আবার অনেক সময় হালিম নিজেই কাটআউটের তার কেটে দিয়ে কৃষকের কাছে থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করেন। ওই গভীর নলকূপ স্কীমে প্রায় ১৮০ বিঘা জমিতে আলু ও প্রায় ২২০ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করা হয়। এসব ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপারেটর আঙ্গুরী খাতুনের অপসারণ ও স্কীমভুক্ত কৃষকদের মতামতের ভিত্তিত্বে অপারেটর নিয়োগের জন্য কৃষকরা সংশিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল হালিম বলেন, তার বোন আঙ্গুরী খাতুনের অপারেটর নিয়োগ রয়েছে সত্য, তবে তিনি মহিলা মানুষ অপারেটরের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না তার পরিবর্তে তিনি নিজে অপারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের অভিযোগ সত্য নয় আসলে কৃষকরা সেচের টাকা না দেয়ার জন্য এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের কাছে থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।