গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : চৈত্র মাসেও আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন। মাঝেমধ্যেই নামছে বৃষ্টি। তার মধ্যেও এই গ্রীষ্মেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই খুলনা শহরের সুপেয় পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ওয়াসাও চাহিদা মোতাবেক পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ। গভীর নলক‚পেও পানি উঠছে কম। খুলনা শহরের শেরে বাংলা রোডের আজাদ লন্ড্রি সড়কে বসবাস করেন জেবীন রহমান। সব মিলিয়ে তার পরিবারের সংখ্যা ৫ জন। বেশ কয়েকদিন ধরে পানি পাচ্ছে না তাদের পরিবার। তাই সকাল থেকেই পানির চাহিদা মেটাতে পুরো পরিবারকে হিমশিম খেতে হয়।
খালিশপুর এলাকায় বসবাস করেন করেন তুহিন আহমেদ। সে তার বাড়ির মটর দিয়ে প্রয়োজন মতো পানি ওঠাতে পারছেন না। শত চেষ্টা করে যে পানি তিনি পাচ্ছেন তা দিয়ে তাদের পরিবারসহ ভাড়াটিয়াদের চাহিদা মিটছে না। শুধু শেরে বাংলা রোড বা খালিশপুর এলাকা নয়, নগরী জুড়েই চলছে এক প্রকার পানির হাহাকার। প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত, নদীর নাব্যতা হ্রাস, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের তুলনায় তা স্তরে জমা না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
সম্প্রতি খুলনা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের এক জরিপে উঠে এসেছে বাস্তুহারা এলাকায় ২৪ মিটার, মুজগুন্নী এলাকায় ১৯ মিটার, খালিশপুর শিশু পার্ক এলাকায় ২২মিটারে, বয়রা বকুলতলা এলাকায় ৩১ দশমিক ১০ মিটার, সোনাডাঙ্গা এলাকায় ২৮ দশমিক ১০ মিটারে, ফেরিঘাট এলাকায় ২৬ দশমিক ৪০ মিটারে, জিলা স্কুল এলাকায় ৩০ দশমিক ৯০ মিটারে, বসুপাড়া এলাকায় ৩১ দশমিক ৩০ মিটারে, শেরে বাংলা রোড এলাকায় ৩১ দশমিক ৬০ মিটারে ও টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল এলাকায় ৩১ দশমিক ৫০ মিটার নিচে পানি নেমে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়ছে নগরীর টিউবওয়েলের উপর। যার কারণে টিউবওয়েল থেকেও সঠিকভাবে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। নগরীর ইকবাল নগর এলাকায় বাসিন্দা পংকজ দাস জানান, গরম শুরু হওয়ার আগেই তাদের বাসায় পানির সঙ্কট শুরু হয়েছে। গভীর নলকুপে মটরে পানি উঠছে না। আবার টিউবওয়েল থেকে পানি তুলতে বেশ সময় লেগে যাচ্ছে।
ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম জানান, নগরীতে প্রতিদিন ২৪০ মিলিয়ন লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। নগরীতে ওয়াসার ২৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন থাকায় তারা সরবরাহ হচ্ছে ১১৯ মিলিয়ন লিটার পানি। ফলে তাদের গ্রাহকদের পানি মাঝে মধ্যে কিছুটা ভোগান্তি হলেও সবসময় হচ্ছে না। কিন্তু নগরীতে যে সব বাড়িতে নলক‚প স্থাপন করা হয়েছে সে সব বাড়িতে পানির স্তর না পাওয়ায় এ সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে।
ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) প্রকৌশলী এম ডি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নানা কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টি, নদীর নাব্যতা হ্রাস, নদীর উৎসমুখ বাধাগ্রস্ত হওয়া ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের তুলনায় তা’ স্তরে জমা না হওয়া অন্যতম। ফলে বিভিন্ন উৎপাদক নলক‚প সমূহের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এছাড়া এর প্রভাব পড়ছে টিউবওয়েলের উপর। যার কারণে টিউবওয়েল থেকেও মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পাচ্ছে। খুলনা থেকে একটু দূরে উত্তর অঞ্চলে এর অবস্থা আরও খারাপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।