গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের অংশ হিসেবে ধলপুর ক্লিনার কলোনিতে ক্লিনারদের একটি ভবন ভাঙার কাজের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ১০ তলা বিশিষ্ট ৫টি ভবনে ৪৮০টি ফ্ল্যাট করার কথা রয়েছে। এসময় মেয়র সাংবাদিকদের জানান, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে অন্য ভবনগুলোও ভেঙে ফেলা হবে।
হকার উচ্ছেদের পর এবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণে নেমেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০৯টি চিহ্নিত ভবন অতিদ্রুত অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। ধলপুরে ডিএসসিসি’র পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকায় জনগণের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। সামান্য মাত্রার ভূমিকম্প কিংবা বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি হলে এগুলো ভেঙে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা ডিএসসিসিতে সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১০৯ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে রাজউক ও সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। আর প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রæত সময়ের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচিত মেয়র হিসেবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বেশ কিছুদিন আগে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বনলতা ও নিউ সুপার মার্কেটসহ তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা ভবনগুলো ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি।
তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণ না করা হলে সিটি কর্পোরেশন ভেঙে দেবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণে কতদিন সময় দেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ঝুঁকির ধরন দেখে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
শতবছরের ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার বাড়িগুলো ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, লক্ষ্মীবাজার, শাখারিবাজার, তাঁতীবাজার এবং বংশালসহ পুরান ঢাকার বাড়িগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলো জনগণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনগুলোতে বসবাস তো দূরের কথা এর আশপাশ দিয়ে আসা-যাওয়া সম্পূর্ণ অনিরাপদ ও ঝুঁকির।
তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিধি-নিষেধের কারণে স্থাপনাগুলো ভাঙা যাচ্ছে না। তাই ভবনগুলো অপসারণ করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।