বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : গতকাল শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীজের ছেলের সামনে খুন হয়েছে বাবা। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হয় ফুলবাড়িয়া উপজেলার পূর্ব মধ্যপাড়া গ্রামের ফয়জুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করলে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। মিজানের হত্যাকারী পাশ্ববর্তী বাড়ির মো. মোকবুল হোসেনের ছেলে নবী হোসেন বলে পরিচয় জানাযায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত মিজানুরের ভাবি হেলেনা খাতুন জানায়, সকালে মিজানের ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলে সোহান স্কুলে যাবার পথে হঠৎ পাশের বাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে নবী হোসেন, সোহানকে রাস্তায় আটকিয়ে তার ছোট বোন লিপি, সিফা, দিপাকে কটুক্তি করার অভিযোগ এনে বেধরক চড় থাপ্পর আর লাথি দিতে থাকে। পরে আমি বলে কয়ে নবী হোসেনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেই।
হেলেনা খাতুন আরো বলেন, কিছুক্ষণ পড় সোহানের বাবা মিজান এসে তার ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাবার সময় আচমকা পেছন থেকে নবী হোসেন পুনরায় এসে মিজানকে লাঠি দিয়ে মাথায় এবং ঘারে বেশ কয়েকটি আগাত করলে অচেতন হয়ে পরে মিজান; আর সোহানের হাতও ভেঙে ফেলে নবী হোসেন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মিজান এবং তার ছেলেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে কতর্ব্যরত ডাক্তার মিজানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে নেয়ার পথে রাস্তায় মারাযায় মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় হত্যাকারী নবী হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হত্যাকারীর মা হাছিনা বেগম (৩৮) এবং ছোট বোন সিফা আক্তার (১৬)কে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এবিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার এসআই রোকনুজ্জামান তালুকদার বলেন, মূলত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটায় নবী হোসেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামির মা আর বোনকে থানায় আনা হয়েছে পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত মিজানুরের স্ত্রী সাজেদা খাতুন অভিযোগ করেন, আমারা গবীর মানুষ, সোহানের বাপে হারাদিন ইট খলায় কাম কইরা যা পায় হেই দিয়াই আমগো সংসার চলতো। আমার পোলাপাইনগুলারে যে এই ভাবে বিনা অপরাধে এতিম করলো সেই নবী হোসেনের যেন ফাঁসি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।