নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা কলম্বো (শ্রীলঙ্কা) থেকে : চতুর্থ ইনিংস বলে কথা, যে চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টি। ২০১৪ সালে ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়ের ১০১’র চ্যালেঞ্জে জয় মাত্র ৩ উইকেটে, ২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ২১৫’র টার্গেটে ৪ উইকেটে জয়টাই সর্বোচ্চ। সে কারণে পি সারা ওভালে চতুর্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জটা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। গতকাল মাত্র ২১৪ রানের বেশি নিতে দেয়নি বাংলাদেশ, ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের ৮ উইকেট। লিডটা ১৩৯ পর্যন্ত নিতে পেরেছে শ্রীলংকা। এখন শেষ ২ জুটির উপর চাপ সৃষ্টি করে শ্রীলংকার লিড ১৬০’র মধ্যে রাখার কথাই ভাবছে বাংলাদেশ দল। দলের এই পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন মোসাদ্দেক ‘ওদের রান এখনো খুব বেশি হয়নি। ১৩৫ রানের (আসলে ১৩৯) মতো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো ১৬০ এর মধ্যে ক্লোজ করার। যদি আমরা ১৬০ এর মধ্যে অলআউট করতে পারি, জয়ের ক্ষেত্রে সেটা আমাদের জন্য খুব একটা কঠিন হবে না।’ বাংলাদেশ যখন ১৬০’র চ্যালেঞ্জের কথা ভাবছে, তখন বাংলাদেশকে চতুর্থ ইনিংসে ২শ’র চ্যালেঞ্জে ফেলতে চায় শ্রীলংকা। দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান করুনারতেœ সে লক্ষ্যের কথাই শুনিয়েছেন ‘উইকেটে এখনো তেমন টার্ন দেখছি না। সাকিব অনেক ভাল বল করেছে। তার বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাট করা সহজ ছিল না। এখনো উইকেটে ব্যাট করা সহজ মনে হচ্ছে। ২শ’ পেলেই আমরা খুশি থাকতাম, সেখানে ২শ’ প্লাস করতে পেরেছি। আমরা এখন ১৪০’র কাছাকাছি লিড পেয়েছি। যদি ২শ’র কাছাকাছি লিড পাই, তাহলে ভাল হবে। এটা করতে পারলে আমরা খুশি হব।’
মুস্তাফিজুরের এক স্পেলের পাশে সাকিব, তাতে শ্রীলংকাকে তছনছ করে দেয়ার কৃতিত্ব এই দুই বাঁ হাতিকে দিয়েছেন মোসাদ্দেক ‘বিশ্বের অনতম্য সেরা বোলার এখন মুস্তাফিজ। এমন না যে ওর কাটারগুলো উইকেটে ধরছিল। ও ভালো একটা জায়াগায় বল করছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, কখন ব্যাটসম্যানরা ভুল করবে। সাকিব ভাইতো সবসমই সেরা। তাদের দুইজনের কি দায়িত্ব সেটা তারা ভালো করেই জানে। তারা জানে কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে। তারা চেষ্টাতেই আমরা ম্যাচে ফিরেছি।’
মুস্তাফিজুরের এক স্পেল (৭-১-২৪-৩) ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে শ্রীলংকাকে, তা বলতে দ্বিধা নেই করুনারত্নের ‘মুস্তাফিজ আমাদের হাত থেকে ম্যাচটি নিয়ে গেছে। সে বলে রিভার্স সুইং করেছে। ডানহাতিদের বিপক্ষে রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করেছে। ওটাই আমাদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। সে কি করতে পারে তা জানতাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল তার বল ছেড়ে খেলার। একটি স্পেলেই সে এলোমেলো করে দিল। তাতে আমরা আঁতকে উঠেছি।’
১৩৭/১ স্কোর নিয়ে শ্রীলংকা যখন লাঞ্চে গেছে, তখন কি মুস্তাফিজ, সাকিব ঝড়ে প্রতিপক্ষকে লন্ডভন্ড করে দেয়ার কথা ভেবেছে কেউ। লাঞ্চ ব্রেকটাই বাংলাদেশকে দিয়েছে অফুরন্ত মনোবল। তা জানিয়েছেন মোসাদ্দেক ‘লাঞ্চের পর আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা ব্রেকথো। আমরা সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম। এরপর একটা উইকেট বের হওয়ার পর আমরা মূলত ম্যাচে ফেরি।’
বাংলাদেশের কাছে এই প্রথম টেস্টে হারের মুখে দাঁড়িয়ে শ্রীলংকা। এমন এক পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য বিব্রতকর কিছু’র আলামত পাচ্ছেন করুনারত্নে ‘শ্রীলংকা শেষ ৬ ম্যাচে দেশের মাটিতে জিতেছে। আমরা কখনো বাংলাদেশের কাছে হারিনি। হেরে গেলে তা হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বিব্রতকর অবস্থা। আমরা টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। উইকেটে তেমন কিছুও ছিল না। কিন্তু একটি উইকেট পড়ার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। অন্যদিকে তাদের ওপেনাররা ছিল দলের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ। তারা প্রচুর রান করেছে, তা ঠেকাতে পারিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।