Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উলিপুরে প্রাথমিকের টিফিনের বিস্কুট কালোবাজারে বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার নতুন অনন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া শিশুদের টিফিনের বিস্কুট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিমাসে এ বিস্কুট বিক্রি করে তিনি আয় করেন প্রায় ১৫ হাজার টাকা। অথচ সরকারি এ বিস্কুটের উৎপাদন ব্যয় কয়েকগুণ বেশি। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ দুর্নীতিবাজদের শাস্তির প্রতিবাদে শনিবার অভিভাবকরা মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোখলেছুর রহমান জানান, নতুন অনন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি সেল্ফে বিক্রির জন্য লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্টুন বিস্কুট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার শিশুদের পুষ্টির অভাব পূরণ ও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এ কর্মসূচি চালু করেন।
অভিযোগ রয়েছে, জেলার উলিপুর উপজেলার ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সিমু সুলতানা যোগদানের পর থেকে কৌশলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাগজ-কলমে অতিরিক্ত দেখিয়ে প্রতিমাসে ২৫ থেকে ৩০ কার্টুন বিস্কুট বেশি উত্তোলন করেন। এসব বিস্কুট সুযোগ বুঝে দুর্গাপুর ও যতিনের হাট-বাজার এলাকার বিভিন্ন পরিচিত দোকানে বিক্রি করে আসছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে এসে লুকিয়ে রাখা এ বিস্কিট উদ্ধার করে। পরে তা প্রধান শিক্ষকের জিম্মায় রাখা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়টির স্টোর রুম থেকে অতিরিক্ত ১৬ কার্টুনে ১৬শ’ প্যাকেট বিস্কুট পার্শ্ববর্তী রুমের সেলফে লুকিয়ে রাখার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি তা অস্বীকার করেন। এতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার সংগঠিত হয়ে স্কুলে তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করেন।
এ সময় প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক স্থানীয় অধিবাসী ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। বিস্কুটের স্টক রেজিস্টারে হালফিল (সঠিক) পেলেও অন্য একটি রুমে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্টুন অতিরিক্ত বিস্কুট পাওয়া যায়। যা কালবাজারে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল বলে সবার অভিযোগ ।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সিমু সুলতানা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, শনিবার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্রি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ