নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী কলম্বো (শ্রীলঙ্কা) থেকে : গল টেস্ট শেষে কলম্বোতে ফিরেই টিম মিটিংয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে শততম টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ মাহমুদুল্লাহ। এমনকি এই সিনিয়র ক্রিকেটারকে দেশে ফেরত পাঠানোর সকল বন্দোবস্তও করে রেখে তা মিডিয়াকে জানিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। গল টেস্টে বাজে ব্যাটিংয়ের অপবাদে কিংবা সর্বশেষ ১০ ইনিংসে মাত্র দু’টি ফিফটিতে টেস্টের মিডল অর্ডার মাহমুদুল্লাহ’র অবস্থান নড়বড়ে হয়েছে, তা ঠিক। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যার প্রয়োজন ফুরায়নি, শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডেও টি-২০ সিরিজেও কি বাদ মাহমুদুল্লাহ? দেশে ফেরত পাঠানোর অর্থ তো এটাই বলে। পরবর্তীতে এ নিয়ে মিডিয়ার ব্যাপক সমালোচনায় টনক নড়েছে বিসিবির। বিসিবি সভাপতির হস্তক্ষেপে সফরের মাঝপথে শ্রীলঙ্কা থেকে মাহমুদুল্লাহর দেশে ফেরা ঠেকানো হয়েছে।
তবে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটিতে হাতুরুসিংহে মহা-ক্ষমতাধর হয়ে ওঠায় মাহমুদুল্লাহকে দেশে ফেরত পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি, এমন অভিযোগ উঠলেও হাতুরুসিংহকে এই ইস্যুতে জড়ানোর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিসিবি সভাপতি। গতকাল বাংলাদেশের ১০০ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা চলাকালে মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাতকারে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চেয়েছেন তিনি। মাহমুদুল্লাহকে শততম টেস্ট স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে তার সিদ্ধান্তে, এটাই জানিয়েছেন মিডিয়াকে গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। তিনি বলেন ‘হাতুরুর কোনো ভ‚মিকা নেই। প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত আমার। এখানে হাতুরুর কথা কেন আসে, আমি তা বুঝি না! এই যে মাহমুদুল্লাহ টেস্টে খেলবে না, এটাতো আমার সিদ্ধান্ত। তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার কথা, কিংবা ওডিআই স্কোয়াডে নেই, এরকম কোনো কথা কেউ আমাকে বলেনি। আমার কাছে তো আসতে হবে আগে। তা ছাড়া আমার কাছে হাতুরু কখনো কিছু পাঠায় না। লিস্ট পাঠায় নির্বাচকেরা। হাতুরুকে এর মধ্যে টেনে আনার কোনো কারণ খুঁজে পাই না।’
মাহমুদুল্লাহ’র সঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফোনে কথা বলে জেনেছেন মাহমুদুল্লাহ শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে থাকতে চান না, ঢাকায় তার সন্তানের সঙ্গে কাটাতে চান। এমন তথ্য দিয়েছেন তিনি ‘ওকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তুমি কি থাকতে চাও? না চলে যেতে চাও? ও প্রথমে বলেছে, আমি চলে যেতে চাই। আমি আমার সন্তানের সঙ্গে দুইদিন থাকতে চাই। তারপর ও আমার কাছে ফোন করে অনুরোধ করেছে ছুটি চায় সে। কালকেও (গত পরশু) একই কথা বলেছিল সে।’
অতীত অবদানকে স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করছে না বিসিবি, তবে বর্তমানের পারফরমেন্সই দলে টিকে থাকার বড় যোগ্যতা, মাহমুদুল্লাহকে ১০০তম টেস্টে বাদ দিয়ে সেই বার্তাই নাকি দিতে চেয়েছে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি বস ‘মাহমুদুল্লাহ, তামীম, সাকিব, মুশফিক এই চারজনের কনট্রিবিউশন নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একজনকে আমরা পছন্দ করি, সে আগে ভালো খেলছিল দেখে এখন তার ফর্ম নেই, তার পরও তাকে খেলাতে হবে, এ কেমন কথা। টিম যদি খুব ভালো ফর্মে থাকত তাহলেও হয়তবা একটা কথা ছিল। কিন্তু টিমই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। সেখানে বসে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। পরিবর্তন আনতে হয়েছে।’
লিটন দাস ইনজুরিতে না পড়লে নাকি আরো বড় পরিবর্তন আসতো শততম টেস্টের দলে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি ‘সত্যি বলতে কি, এখানে আরো অনেক বড় পরিবর্তন আসতো। আপনারা যা জানতেন, তার চেয়ে আরো বেশি চেঞ্জও হতে পারত। এখানে লিটন দাস ইনজুরড হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবর্তন দরকার হয়নি। যে কেউ যে কোনো ম্যাচে বাদ পড়তে পারে। বাদ পড়া নিয়ে ক্ষণিকের জন্য মন খারাপ হয়, হতেই পারে। কিন্তু এটা যদি টিমে প্রভাব ফেলে, এরকম যদি কেউ থাকে, তাহলে তার বাংলাদেশ টিমে থাকারই কোনো সুযোগ নেই। কাউকে যদি একটা ম্যাচ ড্রপ করলে এটা টিমে প্রভাব ফেলে এরকম কোনো প্লেয়ার আমার টিমেই দরকার নেই। একজন সিনিয়র প্লেয়ারের জায়গায় যে-ই আসুক না কেন, তার জায়গায় যে এসেছে, তাকে উৎসাহ দেয়া দরকার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।