বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ৩০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ওজোপাডিকোর লিমিটেড-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী টেক্সটাইল ফিডার। ইনচার্জ হাবিব উল্লাহ ও সাবেক অবসরপ্রাপ্ত সাজাহান-এর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার এবং সহকারী প্রকৌশলী সাহাবউদ্দিন গত ০৬ মার্চ তারিখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অদৃশ্য কোনো কারণে একদিন পরে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকারের নির্দেশই ফিডার ইনচার্জ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাবিব উল্লাহ ও কর্মচারী মোস্তফা কামাল আবার পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপরে অবৈধ অর্থের ভাগ-বাটোরার সমস্যার কারণে এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার। সরেজমিনে প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, পিচরেট কর্মচারী মিটার রিডার মোঃ মোস্তফার মাধ্যমে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পূর্বে রাজাপুর হাটের পাশে ডিএলিবেন তারের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ১২০০ ফুট দূরে গ্রাহক প্রতি অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্রাহক বলেন আমাদের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে ফিডার ইনচার্জ হাবিব উল্লাহ জানান, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। গত ২ মাস যাবৎ এই ফিডার এর ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যখন আমি জানতে পেরেছি যে, ঐ এলাকায় অবৈধ সংযোগ আছে খোঁজ-খবর নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয়কে জানানো হয়। গত ৬ মার্চ সকালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংযোগ কর্তনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ সরকার বলেন, লাইন যে ভাবেই নির্মাণ হোক, সংযোগ কেটে দিয়ে আমি বিপদে পরেছি। বিদ্যুৎ এর তার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন মোস্তফা কোথা থেকে এই তার এনেছে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি ও তার কাছ থেকে মিটার রিডিং বই সিস করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংযোগ দেবার বিষয়টি নিয়ে মোস্তফা শেখ জানান, আমি অফিসের ক্ষুদ্র কর্মচারী, অফিসের অনুমতি ছাড়া আমরা কিছু করতে পারি না, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজাহান সাহেব-এর অনুমতিতেই এই বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হয় ২ থেকে দেড় বছর আগে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী টেক্সটাইল ফিডার ইনচার্জ সাজাহানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, রাজবাড়ী সদরের আলী পুর ইউনিয়নেও একইভাবে ২২শ’ ফিট মিটার সংযোগতার ব্যবহার করে অবৈধ লাইন সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভাগ সুনাম হারাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।