নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : শিষ্যরা ঠিকই গুরুকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে জয় তুলে দিলো। আর তা পেয়ে দারুণ খুশি মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের মেসিডোনিয়ার কোচ মারজান সেকোলভসকি। এএফসি কাপের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড হেরে গেলো মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব ২-০ গোলে হারায় আবাহনীকে। সোমবার ছিল মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাবের কোচ মারজান সেকোলভসকির জন্মদিন। তাই ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেকোলভসকি বলেছিলেন, ‘আশা করছি আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচটি জিতে ছেলেরা আমাকে জন্মদিনের উপহার দেবে’। মাজিয়া কোচের কথাই সত্যি হলো। আবাহনীকে হারিয়ে শীষ্যরা ঠিকই তাকে জন্মদিনের উপহার দিলো। আর এ জয়ে মালদ্বীপের ক্লাবটি প্রমাণ করল যে, ফুটবলে আসলে কতটা এগিয়েছে তাদের দেশ। নিকট অতীতে দু’দেশের ফুটবল লড়াইয়ের ফলাফলেও তা স্পষ্ট। গত বছর প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দল পাঁচ গোল হজম করেছিল মালদ্বীপ জাতীয় দলের কাছে। চট্টগ্রামে সদ্য সমাপ্ত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের গ্রুপ পর্বে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েই টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছিলো মালদ্বীপের ক্লাব টিসি স্পোর্টস। শেষ পর্যন্ত তারা শিরোপা নিয়েই দেশে ফেরে। আর কাল মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়নদের কাছে হার মানে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। এতেই প্রমাণিত জাতীয় দল থেকে ক্লাব পর্যায়- সব ধরনের ফুটবলেই উন্নতি করেছে দ্বীপদেশটি।
কাল এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচের মাত্র পাঁচ মিনিটে এগিয়ে যায় মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। এসময় ডানপ্রান্ত দিয়ে আবদুল্লাহ আসাদুল্লাহ বল বাড়িয়ে দেন ইমাজ আহমেদকে। তিনি টোকা দিয়ে ডানপ্রান্তে মোহাম্মদ উমায়ের দিকে বল ঠেলে দেন। উমায়ের বাঁম পায়ের আলতো টোকায় গোল করে মাজিয়াকে এগিয়ে নেন (১-০)। প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া থাকলেও শেষ পর্যন্ত গোল পায়নি ঢাকা আবাহনী। তারা প্রতিপক্ষ রক্ষণদুর্গে একের পর এক আক্রমণ সানালেও মাজিয়া ক্লাবের গোলরক্ষক মাতিয়াশ পাভেলকে পরাস্ত করতে পারেনি। ৪৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে রায়হানের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করে পাস দেন এমেকা। বল চলে যায় জনাথনের পায়ে। তিনি চলন্ত বলে পা চালালে বল তালুবন্দি করতে তেমন কোনো কাঠখড়ই পোড়াতে হয়নি মাজিয়া গোলরক্ষককে। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকলেও বল দখলের লড়াইয়ে আবাহনীই ছিল এগিয়ে। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি তারা।
আবাহনী একাদশে নির্ভরযোগ্য জুয়েল রানা, তপু বর্মন, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, শাকিল আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম না থাকলেও ম্যাচে তাদের অভাব তেমন একটা অনুভূত হয়নি। তবে পাঁচ মিনিটে হজম করে গোল শোধ দিতে না পারার চাপে থাকা আবাহনী ম্যাচের অন্তিম সময়ে (৮৭ মিনিট) আরও একটি গোল হজম করে। এসময় আসাদুল্লাহ আবদুল্লাহ মাঝ মাঠ থেকে ওয়ালী ফয়সালকে পেছনে পেলে ফাঁকা বারেই বল জালে জড়ান (২-০)। সহজতম সুযোগগুলোও নষ্ট করেছেন জোনাথন-এমেকারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। ১৭মে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে এই দলটির বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে আবাহনী। তবে তার আগে ৪ মে আকাশী হলুদ শিবির তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবে কোলকাতার রবীন্দ্র সরণি স্টেডিয়ামে ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।