পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে গরুর গোশত ৪৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। অথচ ২০ ফেব্রুয়ারির পর ৫শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে গরুর গোশত। এখনও একই দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত। ধর্মঘটের পর কেজিপ্রতি গোশতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। এ প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। গরুর গোশতের প্রভাবে ফেব্রæয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশে। অথচ জানুয়ারি মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে একনেক সভা শেষে (বিবিএস) দেয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য প্রকাশ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গরুর গোশতের প্রভাবে ফেব্রæয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এছাড়া ভোজ্যতেলেরও প্রভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে কিছুটা মূল্যস্ফীতি বাড়লেও গড় মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত ১২ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪১ ভাগ, যা তার আগের ১২ মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৫ ভাগ। সে তুলনায় এই ১২ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি অনেক কমেছে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা তার আগের মাসে একই ছিল।
অন্যদিকে, মজুরি হার সূচক বেড়েছে। সাধারণ মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। কৃষি মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সেবা খাতে মুজরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।