২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
নাক দিয়ে রক্ত বের হলে সবাই ভয় পেয়ে যান। ভয় লাগা স্বাভাবিক। অনেকে অবশ্য রক্ত দেখেই ভয় পান! নাক দিয়ে রক্ত পড়া কোনো রোগ নয়। এটি প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। খুব জটিল কোনো কারণে যেমন নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে আবার সামান্য কিছু কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। তাই এ বিষয়ে সবার জানা প্রয়োজন।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার বেশকিছু কারণ আছে। যেমন-
১। নাকে আঘাত। ২। রাইনাইটিস।
৩। সাইনাসে প্রদাহ। ৪। নাকে কোনো বস্তু ঢুকে গেলে।
৫। ন্যাসোফ্যারিনজিয়াল কার্সিনোমো। ৬। দীর্ঘদিন নাকে স্টেরয়েড স্প্রে ব্যবহার।
৭। নাকের ভেতরে সংক্রমণ। ৮। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেলে।
৯। উচ্চরক্তচাপ। ১০। রক্তের অসুখে।
১১। বিভিন্ন ওষুধ (এসপিরিন, কোকেন) ব্যবহারের ফলে। ১২। অ্যালকোহল।
১৩। সাপের কামড়ের পরে। ১৪। ক্রনিক লিভার ডিজিজ।
১৫। ভিভটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন
‘কে’-এর অভাবে। ১৬। ওসলার-ওয়েবার-রেনডু সিনড্রোম ইত্যাদি।
নাক দিয়ে রক্ত বের হলেই উত্তেজিত হওয়া ঠিক নয়। তবে অবশ্যই দ্রæত কোনো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। হাত দিয়ে নাক চেপে রাখলে দ্রæত রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। নাকের গোড়াতে বরফ দিলে দ্রæত নাক দিয়ে রক্তপড়া বন্ধ হয়। এরপরও বন্ধ না হলে চিকিৎসক ন্যাসাল প্যাক দেন। রক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কারণ খুঁজে বের করা উচিত। সেই কারণ দূর করলে ভবিষ্যতে নাক দিয়ে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করা যাবে।
নাক দিয়ে রক্তপড়া খুব সাধারণ ঘটনা। এরকম হলে চিকিৎসককে অবশ্যই দেখাতে হবে। অবহেলা করা ঠিক নয়। নাহলে ভোগান্তি হতে পারে।
ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।