Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কিডনি সমস্যায় হোমিও

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে কিডনি অন্যতম। অনেক সময় আমরা কিডনির অনেক ধরনের সমস্যা উপলব্ধি করি কিন্তু সমস্যাটি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপ নেই না। ফলে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
শরীরের রেচন প্রক্রিয়াসহ সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ নির্গমনের কাজ এই কিডনিই করে থাকে। তবে কাজ করতে করতে কিডনি যে কোন মুহূর্তে অকেজো হয়ে পড়তে পারে কিংবা কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে কিডনি ড্যামেজ হওয়া থেকে শুরু করে আরো অনেক বড় বড় রোগের সম্মুখীন হওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
কিডনি ফেইলিওর এর মত সমস্যা যে কারোই হতে পারে। তাই শুরু থেকে কিডনির সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ যদি কিডনি সমস্যার লক্ষণ শুরু থেকে জানা থাকে তাহলে অল্পতেই চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কিডনি সমস্যার লক্ষণগুলো আগে একবার জেনে নেয়া যাক
দুর্বলতা : কিডনি সমস্যার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হচ্ছে দুর্বলতা। আর এই দুর্বলতা আসে রক্তশূন্যতা থেকে। কিডনি যদি ঠিকমত কাজ না করতে পারে তাহলে রক্ত ক্রমাগত দূষিত হতে থাকে। এছাড়াও কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে তা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন এরিথ্রোপ্রাটিন উৎপন্ন করতে পারে না। এই হরমোন বোন ম্যারো থেকে লাল রক্ত কনিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।
শ্বাসকষ্ট : যখন কিডনি কাজ করা বন্ধ করতে শুরু করে তখন শরীরের বর্জ্য পদার্থ রক্তে মিশতে শুরু করে। তাই এই বর্জ্য যখন রক্তের সাথে ফুসফুসে পৌঁছায় তখন ফুসফুসে সেই বর্জ্য কার্বনডাই-অক্সাইড জমা হয়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ফুসফুসে ঢুকতে পারে না। এতে করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
মূত্রের কালার পরিবর্তন ও রক্তক্ষরণ : কিডনি সমস্যায় মূত্রের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। কারণ, কিডনির অক্ষমতায় রেনাল টিউবিউলসের ক্ষতি হয় যা পলিইউরিয়ার সৃষ্টি করে। তবে কিডনির অক্ষমতা যত বৃদ্ধি পাবে, মূত্রের পরিমাণ ততই কমবে এবং মূত্রের রং গাঢ় হলুদ কিংবা কমলা রং হয়ে যাবে। সেই সাথে মূত্রের সাথে রক্তক্ষরণ এবং অত্যাধিক ফেনা হতে পারে।
শরীরে চুলকানির উপসর্গ : শরীরের রক্তে যখন বর্জ্য পদার্থ মিশতে শুরু করে তখন চুলকালিনর উপসর্গ দেখা দেয়। কারণ ওই বর্জের মধ্যে ফসফরাস থাকে। যেসব খাবারে ফসফরাস থাকে যেমন দুধজাতীয় খাবার সেগুলো হজমের পর ফসফরাস বর্জ্য হিসেবে মূত্রের সাথে বের হতে পারে না। যার কারণে এটি রক্তে মিশে চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি করতে থাকে।
চোখে ঝাপসা দেখা কিংবা মানসিক অস্থিরতা : কিডনি সমস্যা আপনার চোখে ঝাপসা দেখা কিংবা মানসিক অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে। কারণ শরীরের বর্জ্য পদার্থের একটি বড় অংশ হচ্ছে ইউরিয়া। কিডনি সমস্যার কারণে ইউরিয়া শরীর থেকে বের না হয়ে বরং রক্তে মিশে যায়। এই দূষিত রক্ত মস্কিষ্কে পৌঁছে মানসিক অস্থিরতা, চোখে ঝাপসা দেখা এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। যদি ইউরিয়ার পরিমাণ অত্যাধিক হয় তাহলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে যার ফলাফলে রোগী কোমাতে পর্যন্ত চলে যেতে পারেন।
অরুচি : শরীরের বর্জ্য পদার্থের আরেকটি উপাদান হচ্ছে অ্যামোনিয়া। যদি অ্যামোনিয়া রক্তে মেশে তাহলে তা শরীরে প্রেটিন নষ্ট করে ফেলে। কিডনির অক্ষমতায় শরীর বর্জ্য হিসেবে অ্যামোনিয়া ফিল্টার করতে পারে না। রক্তে অত্যধিক পরিমাণে অ্যামোনিয়া মুখে অরুচি, শরীরের ওজন হারানোর মত সমস্যার সৃষ্টি করে।
তবে মনে রাখবেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনিতে সমস্যা হলে কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু তাই বলে আপনি কিডনির সমস্যা থেকে মুক্ত এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। সব সময় সচেতন থাকুন, স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন এবং স্বাস্থ্য সচেতন হোন।
ডা. এস এম আব্দুল আজিজ
আল-আজিজ হেলথ সেন্টার (রুম নং-১০৩), বায়তুল আবেদ, ৫৩, পুরানা পল্টন, ঢাকা। মোবইল : ০১৭৫৮৫৪৯১১৯



 

Show all comments
  • শামীম ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৫৪ পিএম says : 0
    আমার স্তীর কিডনির রিপট হল ৮.৩৮ এখন আমি কি করব বুঋতে পারছি না দয়া করে আমাকে একটা পরামশ দিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন