২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
![img_img-1719817726](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1677821213_500-321-Inqilab-white.jpg)
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আক্কেল দাঁত মাঝে মাঝে ঠিকভাবে উঠতে পারে না। কোনো কোনো সময় আক্কেল দাঁত আংশিক উঠে আর বাকি অংশ মাড়ির ভেতরে থাকে। এধরনের আক্কেল দাঁতকে প্রতিবন্ধকতাপ্রাপ্ত আক্কেল দাঁত বলা হয়। আক্কেল দাঁত খাবার গ্রহণ, খাবার চর্বন, বা কথা বলার কোনো কাজে ভ‚মিকা রাখে না। এই কারণেই চিকিৎসকরা আক্কেল দাঁত ফেলে দিতে বলেন। কিন্তু অনেকেই আক্কেল দাঁত ফেলতে চান না। আবার অনেক সময় আক্কেল দাঁত যে কোনো কাজে আসে না, এ কথা কোনোভাবেই রোগী বুঝতে চান না। ফলে এ প্রতিবদন্ধকতাপ্রাপ্ত আক্কেল দাঁত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নিচের চোয়ালের দ্বিতীয় মোলার দাঁতকে মধ্য রেখা বরাবর ধীরে ধীরে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এর ফলে নিচের চোয়ালের সামনের দাঁতের ক্রাউডিং-এর কারণে সামনের দাঁত আঁকাবাঁকা হতে শুরু করে। সামনের দাঁত আঁকাবাঁকা হওয়ার কারণে মুখের সৌন্দর্যহানি ঘটে। তখন অর্থোডন্টিক চিকিৎসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প উপায় থাকে না। একইভাবে উপরের আক্কেল দাঁতের চাপ প্রয়োগের কারণে সামনের আক্কেল দাঁতগুলো সামনে চলে আসে। উপরের চোয়ালের দাঁত এবং নিচের চোয়ালের দাঁতের স্বাভাবিক রিলেশন নষ্ট হয়। তাই এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাপ্রাপ্ত আক্কেল দাঁত এবং মুখের সৌন্দর্যের জন্য ক্ষতিকারক দাঁত অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে ফেলে দেয়া উচিৎ। আবার মুখের অভ্যন্তরে যদি ধারালো দাঁত থাকে যা জিহŸা ও মুখের অভ্যন্তরে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, তা’হলে প্রাথমিকভাবে ঐ ধারালো দাঁতকে জুডিশিয়াল গ্রাইন্ডিংয়ের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে যদি ঠিক না করা হয়, তবে তা মুখের আলসার থেকে দীর্ঘ সময়ে ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে। যদি উপরের আক্কেল দাঁত ঠিক জায়গায় না উঠে তা’হলে তা নিচের চোয়ালে মুখের অভ্যন্তরে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় শিশু দাঁত নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে খুব দ্রæত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তাই দাঁত যেমন উপকারী, তেমনি কখনো কখনো ক্ষতির কারণও হয়ে উঠতে পারে। একটি কথাই সবার মনে রাখতে হবে দাঁত যেন কোনোভাবেই মুখে আলসার সৃষ্টি করতে না পারে।
ডা. মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ।
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল : ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।