পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নারী দিনমজুররা মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, চলতি বোরো চাষাবাদের মৌসুমে বেড়ে উঠতে শুরু হওয়া চারা ধান গাছগুলোর পরিচর্যা অপরিহার্য হয়ে পড়লেও মজুর সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুরুষ দিনমজুররা বেশি পারিশ্রমিকের আশায় অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় গৃহস্থদের একমাত্র ভরসা এখন হাতেগোনা কিছু নারী দিনমজুরের উপর। অসচ্ছল পরিবার, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা কিংবা অভাব-অনটনের মধ্যে থাকা এসকল নারী দিনমজুররা শ্রম বিক্রি করতে গেলে এ সুযোগ নিয়ে গৃহস্থরা তাদেরকে সঠিক মজুরি না দিয়ে স্বল্প মজুরিতে চুক্তিবদ্ধ করে কাজ করে নিচ্ছেন। এদিকে পুরুষ মজুরেরা প্রতিদিন ২৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা হারে মজুরি বিক্রি করছেন। নারী মজুররা একই শ্রম দিয়ে দিনমজুরি ১শ’ ৩০ টাকা থেকে ১শ’ ৫০ টাকা পাচ্ছেন। এতে করে পুরুষ দিনমজুরের চেয়ে নারী দিনমজুরের চাহিদা দিন দিন বেড়ে গেলেও শ্রম মূল্য বাড়ছে না। রামজীবন ইউনিয়নের নারী দিনমজুর হোসনে আরা, খালেদা, ইসমোতারা, জরিনা, আকলিমাসহ অনেকে জানান, তারা ক্ষেত খামারে যেভাবে হাড়ভাঙা শ্রম দিচ্ছে সে তুলনায় শ্রম মূল্য পাচ্ছেন না। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গৃহস্থদের নিকট শ্রমমূল্য বেশি চাইলে কাজে আর ডাক পড়ে না। ফলে কাজ অভাবে অভাব-অনটনের সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় উপোস থাকতে হয়। তাই গৃহস্থরা শ্রমমূল্য যাই দিচ্ছেন তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।