নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে গ্রুপ পর্বের ১২টি খেলা শেষে সেরা চারটি দল সেমিফাইনালে উন্নীত হয়েছে। দলগুলো হচ্ছে এ-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ও রানার্স আপ দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন এফসি এবং বি-গ্রুপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী ও রানার্স আপ নেপালের মানাং মারসাদাংদি ক্লাব। আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস এবং নেপালের মানাং মারসাদাংদি ক্লাব এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আবাহনী, দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন এফসি মুখোমুখি হবে। সময়েও এসেছে পরিবর্তন। সন্ধায় অনুষ্ঠিত দু’টি সেমিফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে সাড়ে ৬টায়।
অংশগ্রহণকারী আটটি দলের মধ্যে দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লি: ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। গত আসরেও ঢাকা আবাহনী গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল, কিন্তু সেই আসরে সাদা-কালো জার্সিধারী ঢাকা মোহামেডান সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। এবারের টুর্নামেন্টে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বেশ অসময়ে জ্বলে উঠে মোহামেডান আফগানিস্তানের শাহিন আসমাঈয়ি এফসির বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতলেও হেড টু হেডের গ্যাড়াকলে পড়ে তাদের সেমিফাইনালে খেলার পথটা বন্ধ হয়ে যায়। জয়ের পর তাদের পয়েন্ট নেপালের মানাং মারসাদাংদির সঙ্গে সমান (তিন খেলায় চার পয়েন্ট) হয়ে যায়। কিন্তু গ্রæপ পর্বের খেলায় নেপালের মানাং মারসাদাংদির কাছে হেরে যায় ঢাকা মোহামেডান। ফলে সাদা-কালো জার্সিধারী মোহামেডান জয় পেয়েও সেমিফাইনালে উন্নীত হতে পারেনি।
গত ১৮ ফেব্রæয়ারি শুরু হওয়া এবারের শেখ কামাল ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর ছিল অগোছালো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ করতে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ফুটবল ম্যাচ। যা ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে একেবারেই বেমানান। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ হলেও প্রেসবক্সে ইন্টারনেটের লাইন ঠিকমতো পাওয়া যায় না। স্যাটেলাইট সংযোগ থাকলেও দেয়া হয়নি টেলিভিশন। তাছাড়া টুর্নামেন্টে প্রচার ও প্রচারণার ক্ষেত্রে আয়োজকরা ছিল পিছিয়ে। তাই দর্শকদের তারা মাঠমুখী করতে পারেনি। অথচ প্রথম আসরের চেয়ে দ্বিতীয় আসরে অনেক ভালো ভালো দল অংশ নিয়েছে। প্রথম পর্বে গোল হয়েছে ২৮টি এবং হ্যাট্টিকও হয়েছে। আফগানিস্তানের শাহিন আসমাঈয়ির ফরওয়ার্ড আমির নেপালের মানাং মারসাদাংসির বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করে। কিন্তু দর্শকরা মাঠমুখী না হওয়ায় গোলদাতারা পায়নি তেমন আনন্দ। শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বের শেষ দু’টি ম্যাচ দেখতে গত ২৪ ফেব্রæয়ারি প্রায় ছয় হাজারের মতো দর্শক গ্যালারিতে আসে। অথচ ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো শেখ কামাল ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলাগুলো দেখতে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ছিল উপচেপড়া দর্শক। এবারের দ্বিতীয় আসরে দর্শকের খরা দেখে কম বেশি সবাই দায়ী করছেন প্রচারণা সঙ্কটকেই। মাঠে চলছে ফুটবল, যেখানে হচ্ছে ফুটবল যুদ্ধ। তারপরও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের গ্যালারির এক ধাপও পরিপূর্ণ হয় না দর্শকে। যেসব দর্শক এ ফুটবল যুদ্ধ দেখতে এসেছে গ্যালারিতে দর্শক খরা দেখে তারা হয়েছে ব্যথিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।