নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : অবশেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো। গতকাল নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাব দলের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। গোলদাতারা হলেন- অতিথি দলের ফরোয়ার্ড ওলেডিপু দু’টি এবং স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার নাছির ও ফরোয়ার্ড ওয়ালসন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন নেপাল ক্লাব দলের ফরোয়ার্ড ওলেডিপু। শেষ চারে দল উঠায় ভীষণ খুশি স্বাগতিক দলের কোচ সাইফুল বারি টিটু। তিনি বলেন, ‘খুব টাইট ও টাফ ম্যাচ ছিল এটি। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ভালো কামব্যাক করেছি আমরা। যেহেতু ম্যাচটি ড্র করলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত, তাই ডিফেন্স ঠিক রেখে কাউন্টার অ্যাটাক করে খেলার পরিকল্পনা ছিল। নাছিরের দেয়া গোলটি টনিকের মতো কাজ করেছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র করে আমাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। দেশের কোনো দলই যদি সেমিফাইনালে যেতে না পারতো, তাহলে কারোরই ভালো লাগতো না।’ এদিকে ভাগ্যকে দোষারূপ করার পাশাপাশি রেফারির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও আনলেন নেপালের মানাং মার্সায়েন্দি ক্লাব দলের কোচ গুরাং। তিনি বলেন, ‘২-০ তে এগিয়ে থাকার পর ম্যাচটি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু ওভার কনফিডেন্সের কারণে আমরা ম্যাচটি জিততে পারিনি। অবশ্য রেফারি যে পেনাল্টি দিয়েছেন, সেটি পেনাল্টি ছিল না। সেইসঙ্গে দুর্ভাগ্যও আমাদের। অধিনায়ক অনিলের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছে।’ তিনি জানান, তাদের সেমিফাইনালে উঠার সুযোগ রয়েছে, তবে তা নির্ভর করছে ঢাকা মোহামেডান ও আফগানিস্তানের শাহীন আসমায়ে ক্লাবের ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
তিন মিনিটেই গোল পেয়ে এগিয়ে যায় মানাং। বামপ্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড স্যামসন ক্রস করেন ডানপ্রান্তে দাঁড়ানো অধিনায়ক অনিলকে। অধিনায়ক অনিল ডি-বক্সে ফাঁকায় দাঁড়ানো কৌশলী ফরোয়ার্ড ওলাডিপুর উদ্দেশে ক্রস করেন। ওলাডিপু চমৎকার হেডে দলকে এগিয়ে নেন ১-০। ম্যাচের ২১ মিনিটে ডি-বক্সে সুবিধাজনক অবস্থায় বল পেয়ে মানাংয়ের ফরোয়ার্ড ওলাডিপু আবাহনীর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকোনি শটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ২-০। তার ক্ষিপ্রগতির সঙ্গে পেরে উঠেননি চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। এরপর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রা। ১০ মিনিট পর ফরোয়ার্ড ওয়ালসন ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলমুখে যে শট নেন তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মানাংয়ের গোলকিপার দিনেশ। কর্নার কিকটি করেন অধিনায়ক মামুন। তার কর্নার ফরোয়ার্ড জামাল ভূঁইয়ার পা ঘুরে গোলমুখে আসলে ডিফেন্ডার নাছিরের চমৎকার হেডে বল জালে জড়িয়ে যায় ২-১। এই গোলের পর যেন প্রাণ ফিরে পায় স্বাগতিক দলটি।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় সমতা আনেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফরোয়ার্ড ওয়ালসন ২-২। আবাহনীর একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে ডি-বক্সে মানাংয়ের ডিফেন্ডার দেবেন্দ্র’র হাতে লাগে বল। মিয়ানমারের রেফারি জো খাইং ওই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টির এই গোল স্বাগতিক দলকে সেমিফাইনালের স্বপ্ন পূরণ করে। অবশ্য ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে প্রায় গোল হজম করতে বসেছিল আবাহনী। অতিথি দলের অধিনায়ক অনিলের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে নিজ মাঠে এই টুর্নামেন্টের বাকি সময় স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীকে দর্শক হয়েই থাকতে হতো।
এদিকে একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান ২-০ গোলে হারায় আফগানিস্তানের শাহীন আসমায়ে এফসিকে। কিন্তু জয় পেলেও মোহামেডান শেষ চারে জায়গা পেল না। তিন ম্যাচ শেষে মোহামেডান ও নেপালী ক্লাব মানাং মার্সিয়াদির সমান ৪ পয়েন্ট করে হলেও হেড টু হেডে মোহামেডানকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে জায়গা পেল মানাং।
ফলে হতাশায় ডুবে আসর থেকে বিদায় নিতে হলো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।