Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিশুর বমি

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছোট শিশুদের সবাই ভালবাসে। তাই তাদের কিছু হলে পরিবারের সদস্যদের চিন্তার অন্ত থাকে না। ছোট শিশুদের বেশ কিছু রোগ-ব্যাধি আছে যেসব হলে বাবা-মা বেশ উদ্বিগ্নতায় দিন কাটান। অথচ একটু সাবধান হয়ে চললেই এসব সমস্যা প্রতিরোধ করা হয়। শিশুর বমি এমনই এক সমস্যা। খুব জটিল বা বড় কোন কারণে যে শিশুর বমি হয় তা নয়। কিছু তথ্য জানা থাকলে অনেকাংশেই শিশুর বমি প্রতিরোধ করা যায়।
খাওয়ানোর ভুল পদ্ধতির কারণেই মূলত শিশুরা বমি করে। আমাদের দেশে যারা সচ্ছল তারা শিশুকে চাহিদার থেকে বেশি খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করেন। শিশু স্বাভাবিক খেলেও তারা সন্তুষ্ট হতে চান না। আরো বেশি খাবার দিতে চান। এর ফলে শিশুর বমি হয়। অনেক অভিভাবক শিশুকে বাইরের খাবার দেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। বাইরের খাবার অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং নি¤œমানের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এরজন্যও শিশু বমি করে। শিশুকে জোর করে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা কখনই উচিত নয়। অনেক বাবা-মা এটি বুঝতে চায় না। ফলে বমি হয়।
শিশু বমি করলেই আতংকিত হবেন না। কারণ বেশির ভাগ বমিই জটিল কোন অসুখের কারণে হয় না। তবে বমি করলে শিশুকে উপুড় করে পিঠে আস্তে আস্তে চাপ দিতে হবে। তাহলে বমি বের হয়ে আসবে। না হলে শ্বাসনালীতে যেয়ে বিপত্তি করতে পারে। শিশুকে প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর পর কাঁধে নিয়ে পিঠে হালকা চাপ দিতে হবে। ফলে পেটের বাতাস বের হয়ে যাবে এবং শিশু বমি করবে না। বর্তমানে বেশ কিছু ওষুধ আছে যা পেটের মধ্যে বাতাস কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শে সেসব ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুকে কোনভাবেই জোর করে খাওয়ানো যাবে না। একবারে বেশি খাবার শিশুকে দেয়া ঠিক নয়। খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর খাবার বেশি দিতে হবে।
শিশু যদি বমি করতেই থাকে অথবা ওজন কমে যায় এবং বমি খুব দূরে গিয়ে পড়ে তবে অবশ্যই শিশু বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন