Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পৃথিবীতে রাসূল (সা.) এর আগমন মূর্তি ও বাদ্যযন্ত্র ধ্বংসের জন্য -পীর সাহেব চরমোনাই

হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবির মূর্তি অপসারণ করতে হবে

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেবিদ্বার উপজেলা সংবাদদাতা : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মূর্তি ও বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করার জন্যই পৃথিবীতে রাসূল (সা.) এর আবির্ভাব হয়েছিল। কাজেই সর্বোচ্চ বিচারাঙ্গন থেকে গ্রিক দেবির মূর্তি অপসারণ করে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও তার নাযিল করা কুরআন হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতিক। শুধু তাই নয়, ন্যায় বিচারের সকল পদ্ধতি পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা লিপিবদ্ধ করেছেন। আল্লাহর রাসূল (সা.) উক্ত বিধান পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি আফসোস করে বলেন, আমেরিকার সুপ্রিমকোর্ট ফটকে শ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে রাসূল (সা.) এর নাম লেখা থাকলেও ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টে ন্যায় বিচারের প্রতিক মাটি বা ধাতবের তৈরি মূর্তি থাকতে পারে না। কারণ মূর্তির বাক ও বোধ শক্তি নেই।
পীর সাহেব চরমোনাই শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত বিশাল ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি।
মুরাদনগর বড় মাদরাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে মাহফিলে বয়ান করেন কোরআন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ মাওলানা মুজাম্মিল হোসাইন ফারুকী, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল ফরিদী, মাওলানা হাফিজ আহমদ ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, মুজাহিদ কমিটির ছদর আলহাজ আনোয়ার হোসেন, আন্দোলন নেতা হাফেজ মাওলানা সুলাইমান, আলহাজ আবুল হোসেন আবু ও সাংবাদিক মাহবুব আলম আরিফ প্রমুখ। চরমোনাই পীর বলেন, আত্মশুদ্ধি না থাকায় মানুষের নৈতিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমেই জননিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রাসূল সা. এর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ না থাকায় সমাজে দিন দিন অশান্তি বেড়েই চলছে। দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার সার্বিক মুক্তি ফিরে পেতে হলে সকলকে রাসূল (সা.) এর আদর্শের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতিকে নৈতিকতাহীন করার পেছনে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী শিক্ষা আইন ও সিলেবাসই বেশি দায়ী। জাতিকে চরম ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী সিলেবাস সংশোধন প্রয়োজন। তিনি প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৃথিবী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ