নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ দলের সফল টিম ম্যানেজার হিসেবে টানা ২ বছর দায়িত্ব পালনের সুখ্যাতি আছে সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমানে বিসিবি’র গেম ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজার খালেদ মেহমুদ সুজনের। তার দায়িত্ব পালন কালে ৬টি ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি ছাড়াও ৩ টেস্ট জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বশেষ ২টি সফরে নিজ থেকেই দলের ম্যানেজারশিপের দায়িত্ব পালনে থেকে দাঁড়িয়েছিলেন সরে। ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের নবাগত দল সাইনপুকুরকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে উন্নীত করে পুনরায় ফিরছেন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতে। আগামী মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরেই ম্যানেজার হিসেকে দেখা যাবে খালেদ মেহমুদ সুজনকে। গতকাল নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন ‘ যতটুকু জানি, আমিই যাচ্ছি।’ টিম ম্যানেজার হিসেবে বিসিবি’র এই পরিচালক দীর্ঘমেয়াদে দলের দায়িত্ব নেয়ার পক্ষে ‘ যদি আমার থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তখন থাকব। যদি দায়িত্বটা দীর্ঘ মেয়াদে হয়, তাহলে পরিকল্পনা করতে সহজ হয়।’
দায়িত্ব ফিরে পেয়েই সাকিব, মুশফিকুরকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন সুজন। সর্বশেষ হায়দারাবাদ টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহাকে সহজ স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের উইকেট কিপিং নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। মুশফিকুরের হাত থেকে কিপিং গ্লাভস খুলে অন্য কাউকে টেস্টে স্পেশালিস্ট উইকেট কিপার হিসেবে দেখতে চান বলে হায়দাবাদ টেস্ট চলাকালে মিডিয়াকে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। তবে সিদ্ধান্তের ভারটি মুশফিকুরের হাতেই ছেড়ে দেয়ার পক্ষে ম্যানেজারের দায়িত্ব ফিরে পাওয়া সুজন। টেস্টে ডিসমিসালের সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা (৯৫টি) মুশফিকুরের প্রতি এই পরামর্শই তারÑ‘কিপিং একটা থ্যাংকসলেস জব। একটা স্ট্যাম্পিং মিস করলে অনেক দিন দর্শক তা মনে রাখে। তারপরও মুশফিক যদি খেলে যেতে চায়, তাহলে তা করতে পারে। যদি ও নিজেকে ক্লান্ত মনে করে,তাহলে ব্যাপারটি আলাদা। এক্ষেত্রে ওর কথাটাই শোনা উচিত।যেহেতু দলকে অনেক সার্ভিস দিয়ে আসছে, তাই ও এই সম্মানটা পেতেই পারে।’
হায়দারাবাদ টেস্টে লড়াকু সেঞ্চুরি মøান হয়েছে ওই স্ট্যাম্পিং মিসে, তাতে রীতিমতো বিসিবি’র আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে মুশফিকুরকে। দেড় বছর আগে পর পর ২টি টেস্ট সিরিজে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিপিং গøাভস খুলে মুশফিকুরকে তা তুলে দিতে হয়েছিল লিটন দাসকে। হয় ক্যাপ্টেনসি করতে হবে, নয় কিপিং-বোর্ডের এই শর্ত মেনে কিপিংটা ছাড়তে হয়েছিল মুশফিকুরকে। মুশফিক ইস্যুতে আবারো কঠোর বিসিবি। যদিও হায়দারাবাদ টেস্টে মুশফিকুরের কিপিংয়ের পক্ষ নিয়েছেন সাকিব, মুশফিক নিজেও একসঙ্গে তিন দায়িত্ব উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাম্পিং মিসে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে নিবৃত্ত হয়েছে বিসিবি। মুশফিকুরের নেতৃত্বে টেস্টে লড়াকু বাংলাদেশের আবির্ভাবকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে ভদ্রচিতভাবে একটা সমাধান খুঁজছে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন সুজনÑ‘ভালো কিছু করলে সেটা আলোচিত হয় না, কিন্তু একটা ভুল করলে সেটা বাতাসে ভাসতে থাকে। আড়াই বছরে ওর দারুণ সাফল্যের কথা কেউ বলে না। মুশফিকুর সব সংস্করণের ক্রিকেটে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ও বলে সব সে উপভোগ করে। তার মানে ওর কাজের চাপ নেই। ও যদি মনে করে চাপ হচ্ছে, তাহলে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। আমার মনে হয় ও কিপিং ভালোবাসে। যতদিন পর্যন্ত সে উপভোগ করবে, ততোদিন সে কিপিং করে যেতে পারে।’
এদিকে হায়দারাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের মাথায় অশ্বিনকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলে আত্মাহুতি দিয়ে নিজের অবধারিত সেঞ্চুরি করেছেন হাতছাড়া, বাংলাদেশ দলকে ফেলেছেন বিপদের মুখে সাকিব। তার ওই শটটি নিয়ে মিডিয়ায় কম সমালোচনা হয়নি, সমালোচনা করেছে বিসিবিও। এমনকি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে নিজের আউট নিয়ে অনুতপ্ত না হলে উল্টো ওটাই তার খেলার স্টাইল বলে করেছেন প্রকাশ! তার এহেন মন্তব্যে বিসিবি সভাপতি হায়দারাবাদে বসেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সাকিবকে তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকার পরামর্শ খালেদ মেহমুদ সুজনেরÑ‘ সাকিবকে বোঝানোর কিছু নাই। সে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তার নিজস্ব গেমপ্লান থাকতে পারে। ওর পরিকল্পনা হয়তোবা মুশফিক, তামিম বা রিয়াদের সঙ্গে মিশবে না। তবে, কিছু কিছু পরিস্থিতিতে সচেতন থাকতে হবে। অনেকের ব্যক্তিগত স্টাইল থাকে। গ্রেট খেলোয়াড় যারা আছে, তারা ম্যাচের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ব্যাটিং করে। আমার মনে হয় সাকিব, যা বলেছে ঠিকই বলেছে। এ সব ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, পরিবেশ একটু বিশ্লেষণ করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।